Book Name:Achy Amaal Ki Barkatein

চার দিরহামের পরিবর্তে চারটি দোয়া

          হযরত মনসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একদিন বয়ান করছিলেন, কোন হকদার তার থেকে চার দিরহাম চাইলো। হযরত মনসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ঘোষণা করলেন: যে একে চার দিরহাম দিবে, আমি তার জন্য চারটি দোয়া করবো। তখন সেখান দিয়ে একজন গোলাম যাচ্ছিলো, একজন ওলীয়ে কামিলের রহমতপূর্ণ আওয়াজ শুনে তার কদম থমকে গেলো এবং তার নিকট যে চার দিরহাম ছিলো, তা সে সেই ব্যক্তিকে দিয়ে দিলো। হযরত মনসুর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: বলো! কোন চারটি দোয়া করাতে চাও? আরয করলো: (১) আমি যেনো গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে যাই (২) আমি এই দিরহামের প্রতিদান চাই (৩) আমার এবং আমার মুনিবের তাওবা নসীব হোক (৪) আমার, আমার মুনিবের, আপনার এবং সকল উপস্থিতির ক্ষমা হয়ে যাক। হযরত মনসুর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন। গোলাম তার মুনিবের নিকট দেরীতে পৌঁছলো, মুনিব দেরী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে এই ঘটনা শুনালো। মুনিব জিজ্ঞাসা করলো: প্রথম দোয়া কি ছিলো? গোলাম বললো: আমি আরয করেছি: দোয়া করুন! আমি যেনো গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে যাই। একথা শুনে মুনিবের মুখ থেকে অস্ফুটে বেরিয়ে এলো: যাও! তুমি গোলামী থেকে মুক্ত।” জিজ্ঞাসা করলো দ্বিতীয় দোয়া কোনটি করিয়েছো? বললো: যে চার দিরহাম আমি দিয়ে দিয়েছি, তার বিকল্প প্রতিদান যেনো পেয়ে যাই। মুনিব বলে উঠলো: আমি চার দিহামের পরিবর্তে তোমায় চার হাজার দিরহাম দিলাম।” জিজ্ঞাসা করলো: তৃতীয় দোয়া কি ছিলো? বললো: আমার এবং আমার মুনিবের গুনাহ থেকে তাওবা করার তৌফিক নসীব হয়ে যাক। একথা শুনতেই মুনিবের মুখে ইস্তিগফার শুরু হয়ে গেলো এবং বলতে লাগলো: আমি আল্লাহ পাকের দরবারে আমার সকল গুনাহ থেকে তাওবা করছি।” অতঃপর বললো: চতুর্থ দোয়া কি ছিলো: গোলাম উত্তর দিলো: আমি অনুরোধ করেছি যে, আমার, আমার মুনিব, তাঁর এবং ইজতিমায় উপস্থিত সকলের ক্ষমা হয়ে যাক। একথা শুনে মুনিব বললো: তিনটি বিষয় যা আমার ক্ষমতাধীন ছিলো, তা আমি করে নিয়েছি, চতুর্থ বিষয়টি তথা সবার ক্ষমা হয়ে যাওয়া, এটা আমার ক্ষমতাধীন নেই। দিন অতিবাহিত হলো, যখন রাত হলো তখন সেই মুনিব স্বপ্নে কোন ঘোষণাকারীকে শুনলো: যা তোমার ক্ষমতাধীন ছিলো, তা তুমি করেছো এবং আমি হলাম ارحم الراحمين, আমি তোমাকে, তোমার গোলামকে, মনসুরকে এবং সেখানে বিদ্যমান উপস্থিত সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

(রওযুর রায়্যাহীন, ২২২ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ণনাকৃত ঘটনা থেকে তিনটি বিষয় অর্জিত হলো: (১) এই ঘটনা থেকে জানা গেলো যে, আল্লাহ ওয়ালারাদের দোয়া অর্জনের কোন সুযোগ হাত ছাড়া করা