Book Name:Achy Amaal Ki Barkatein

আমি কিছুটা আরাম পাবো। আমার মৃত্যুর পর যখন আমাকে দাফন করবে এবং আমার কবরে মাটি ঢেলে দিবে তখন সেখান থেকে ফিরে আসাতে তাড়াতাড়ি করবে না বরং আমার কবরের মাথার পাশে দাঁড়িয়ে لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْ لُ الله পাঠ করো, কেননা এতে মুনকার নকীরের প্রশ্নের উত্তর দিতে সহজতা হতে পারে, এরপর হাত উঠিয়ে এই দোয়া করো: হে মালিক! সে তোমার বান্দা, সে যা গুনাহ করেছে তা করেছে, যদি তুমি তাকে আযাব দাও তবে সে তারই অধিকারী আর যদি তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও তবে তা তোমার মহৎ শান। অতঃপর আমাকে আল বিদা বলে ফিরে এসো। তাঁর ইন্তিকালের পর সন্তান তাঁর অসিয়তের উপর আমল করলো। অতঃপর সে পরবর্তী রাতে স্বপ্নে তাঁকে দেখে জিজ্ঞাসা করলো: আব্বাজান! কি অবস্থা? উত্তর দিলেন: আমার বৎস! অবস্থা তো এতই কঠিন এবং কঠোর ছিলো যে, তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, যখন আমার দয়ালু রবের দরবারে হিসাব দেয়ার জন্য দাঁড়ালাম, তখন তিনি ইরশাদ করলেন: আমার বান্দা! বলো আমার জন্য কি এনেছো? আমি আরয করলাম: ইয়া আল্লাহ! ষাটটি হজ্জ এনেছি। উত্তর এলো: এর মধ্যে একটি হজ্জও কবুল হয়নি। একথা শুনে আমার মাঝে কম্পন শুরু হয়ে গেলো। আল্লাহ পাক আবারো জিজ্ঞাসা করলেন: আর কি এনেছো? আমি আরয করলাম: এক হাজার দিরহামের সদকা ও খয়রাত এনেছি। ইরশাদ করলেন: এর মধ্যে এক দিরহামও কবুল হয়নি। আমি বললাম: হে দয়ালু রব! তবে তো আমি ধ্বংস হয়ে গেছি এবং এখন আমার জন্য ধ্বংসই ধ্বংস। তখন দয়ালূ রব ইরশাদ করলেন: তোমার কি স্মরণ আছে যে, একবার তুমি তোমার ঘর থেকে বাইরে কোথাও যাচ্ছিলে, পথে তুমি একটি কাঁটা দেখলে এবং মানুষদের কষ্ট থেকে বাঁচানোর নিয়্যতে সেই কাঁটা পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলে? আমি তোমার সেই আমল কবুল করে নিয়েছি এবং এর কারণে তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (হিকায়াতুস সালেহীন, ৫১ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

নেক আমল নষ্ট হয়না

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ণনাকৃত ঘটনা থেকে এই শিক্ষা অর্জিত হলো! অনেক সময় দেখতে সামান্য মনে হওয়া নেকীও বান্দার মুক্তির কারণ হতে পারে। তাই যেকোন আমলকে নগন্য মনে করে উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। কেননা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য যা-ই নেক আমল করা হয়, তা কখনো নষ্ট হয়না।

 

উত্তম আমলের বরকত

          اَلْحَمْدُ لِلّٰه একনিষ্ঠতার সহিত করা নেক আমলের বরকতে বান্দা বড় বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায়। * উত্তম আমলের বরকতে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। * উত্তম আমলের বরকতে জান্নাতের নেয়ামত নসীব হয়। * উত্তম আমলের বরকতে কবর ও হাশরের আযাব থেকে মুক্তি