Book Name:Achy Amaal Ki Barkatein

 

জান্নাতের বাহার

          যদি জান্নাতের কোন নখ বরাবর জিনিস দুনিয়ায় প্রকাশ হয়ে যায় তবে আসমান ও জমিন তাতে পূর্ণ হয়ে যাবে। (তিরমিযী, কিতাবু সিফাতিল জান্নাতি, ৪/২৪১, হাদীস-২৫৪৭) জান্নাতের দেওয়াল স্বর্ণ ও রূপার ইট এবং মুশকের আস্তরন দ্বারা নির্মিত। (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, কিতাবু আহলিল জান্নাত, ১০/৭৩২, হাদীস-১৮৬৪২) জান্নাতে চারটি নদী রয়েছে: একটি পানির, দ্বিতীয়টি দুধের, তৃতীয়টি মধুর, চতুর্থটি শরাবের। অতঃপর এগুলো থেকে নদী বের হয়ে প্রত্যেকের স্থানে যাচ্ছে। নদীগুলোর এক পাশ মুক্তোর এবং অপর পাশ ইয়াকুতের আর এই নদীগুলোর মাটি খাঁটি মুশকের। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবু সিফাতিল জান্নাতি, ৪/৩১৫, হাদীস-৩৫/৫৭৩৪) জান্নাতে সর্বপ্রকার সুস্বাদু খাবার থাকবে, যা চাইবে সাথেসাথেই তা সামনে বিদ্যমান থাকবে। (তাফসীরে ইবনে কসীর, ৭/১৬২) যদি কোন পাখি দেখে এর মাংস খেতে ইচ্ছা করে তবে তখনই তা ভুনা (Roasted) হয়ে তার নিকট এসে যাবে। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবু সিফাতিল জান্নাতি, ৪/২৯২, হাদীস-৭৩) যদি পানি ইত্যাদির ইচ্ছা হয় তবে পানির পাত্র স্বয়ং হাতে এসে যাবে, তাতে সঠিক পরিমাণে পানি, দুধ, অমিয় সূধা, মধু এতটুকু থাকবে যে, না চাহিদা থেকে এক বিন্দু কম হবে না বেশি, পান করার পর সেই পাত্র স্বয়ং যেখান থেকে এসেছিলো, চলে যাবে।

(আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবু সিফাতিল জান্নাতি, ৪/২৯০, হাদীস-৬৬)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জান্নাত এবং এর অনন্য নেয়ামত সমূহ আমাদেরও ভাগ্যে আসতে পারে, যদি আমরা উত্তম আমল এবং অধিকহারে নেককাজ সম্পাদনকারী হয়ে যাই। কিছু নেক আমল এমন রয়েছে, যা প্রকাশ্যভাবে ছোট মনে হয়, কিন্তু এর এমন এমন বরকত প্রকাশ পায় যে, বিবেক হতভম্ব হয়ে যায়। আসুন! এমনই একটি বর্ণনা শ্রবন করি:

 

পথের কাঁটা সরানো ক্ষমাপ্রাপ্তির কারণ হয়ে গেলো

          আল্লাহ পাকের ওলী হযরত মনসুর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ওফাতের সময় নিকটবর্তী হলে তিনি কান্না করতে লাগলেন এবং এতই অস্তির হয়ে গেলেন, যেমন কোন মা সন্তানের মৃত্যুতে অস্তির হয়। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো: জনাব! আপনি কাঁদছেন কেন? আপনি তো খুবই পবিত্র এবং পরহেযগারীতার জীবন অতিবাহিত করেছেন আর আশি বছর আপন দয়ালূ রবের ইবাদত করেছেন। হযরত মনসুর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি আমার গুনাহের কারণে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছি, যার কারণে আমি আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে গেছি। একথা বলে হযরত মনসুর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আবারো কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর কিছুক্ষণ পর তাঁর ছেলেকে বললেন: বৎস! আমার চেহারা কিবলার দিকে করে দাও, যখন আমার কপালে ঘামের ফোঁটা দেখা দিবে, আমার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পরবে তখন আমাকে সাহায্য করবে এবং কালেমা শরীফ পাঠ করাবে, সম্ভবত