Book Name:Achy Amaal Ki Barkatein

 

          হে আশিকানে রাসূল! কোরআনে করীমের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে যে, যারা উত্তম আমল করবে, তারা জান্নাত পাবে।

          আল্লাহ পাক ৩০ পারা সূরা বাইয়্যিনাতের ৭, ৮নং আয়াতে ইরশাদ করেন:

اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ اُولٰٓئِکَ ھُمْ خَیْرُ الْبَرِیَّۃِ ؕ(۷) جَزَآؤُھُمْ عِنْدَ رَبِّہِمْ جَنّٰتُ عَدْنٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِہَا الْاَنْہٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْہَاۤ اَبَدًا ؕ
رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُمْ وَ رَضُوْا عَنْہُ ؕ ذٰلِکَ لِمَنْ خَشِیَ رَبَّہٗ (۸)

(পারা ৩০, সূরা বাইয়্যিনাত, আয়াত ৭ ও ৮)       কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারাই সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ; তাদের প্রতিদান তাদের প্রতিপালকের নিকট- বসবাস করার বাগান, যার নীচে নহর সমূহ প্রবাহিত, সেগুলোতে সদা-সর্বদা থাকবে। আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর উপর সন্তুষ্ট। এটা তারই জন্য, যে আপন প্রতিপালককে ভয় করে।

          অনুরূপভাবে ১১তম পারা সূরা ইউনুসের ৯নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:

اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ یَہْدِیْہِمْ رَبُّہُمْ بِاِیْمَانِہِمْ ۚ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِہِمُ الْاَنْہٰرُ فِیْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِ (۹)

(পারা ১১, সূরা ইউনুস, আয়াত ৯)             কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে তাদের প্রতিপালক তাদের ঈমানের কারণে তাদেরকে পথ দেখাবেন; তাদের নীচে নদী সমূহ প্রবাহিত হবে, নিয়ামতের বাগান সমূহে।

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভাবুন তো! নেক আমলের চেয়ে আর কি বরকত হতে পারে যে, বান্দা এর কারণে জান্নাতের ন্যায় আলিশান এবং চিরস্থায়ী নেয়ামতও পেতে পারে।

          নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান ব্যক্তি সেই, যে জান্নাতের চিরস্থায়ী নেয়ামতকে এই জগতের নশ্বর নেয়ামতের উপর প্রাধান্য দেয় এবং সেই নেয়ামত অর্জন করার চেষ্টা করে, যা চিরস্থায়ী। নিঃসন্দেহে দুনিয়ার ভালবাসা এবং ধন ও সম্পদের আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত থেকে জান্নাত পাওয়ার জন্য আমল করা খুবই কষ্টকর। কিন্তু যদি আমরা আখিরাতে অর্জিত আরাম, আয়েশ ও সুযোগ সুবিধার প্রতি দৃষ্টি প্রদান করি তবে নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আমল করা সহজ হবে। একে এভাবে বুঝে নিন যে, যদি কারো সামনে একটি একশত টাকার নোট রাখা হয় আর তার পাশে এক লক্ষ টাকার নোটের বান্ডিলও রাখা হয়, অতঃপর এই দু’টির মধ্যে যেকোন একটি নেয়ার অধিকার দেয়া হয় তবে নিঃসন্দেহে সে এক লক্ষ টাকার বান্ডিলই নেয়া পছন্দ করবে। একেবারে অনুরূপভাবে দুনিয়া এবং যা কিছু এতে রয়েছে তার তুলনা একশত টাকার নোটের ন্যায় আর আখিরাতে অর্জিত উপকারীতা ও জান্নাতে অর্জিত নেয়ামত তো এমন, যার কোন মূল্যই হতে পারে না, কেননা জান্নাতের স্থায়ী নেয়ামতের সাথে দুনিয়ার অস্থায়ী নেয়ামতের কোন তুলনা হবে না। আসুন! উৎসাহ গ্রহণার্থে জান্নাতের কিছু বাহার” অবলোকন করুন।