Book Name:Fazail e Bait ul ALLAH

          অপর এক বর্ণনা অনুযায়ী হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام এর সৃষ্টির ২ হাজার বছর পূর্বে বাইতুল মামুরের একেবারে সোজাসুজি ফেরেশতারা কাবা শরীফের ভবন বানায়, এটি সাইজে বাইতুল মামুরের সমান ছিলো, তখন কাবা শরীফের তাওয়াফ তো শুধু জমিনের ফেরেশতারা করতো কিন্তু এর হজ্জ জমিন ও আসমানের সকল ফেরেশতারা করতো।

(তাফসীরে খাযিন, পারা ৪, আলে ইমরান, ৯৬নং আয়াতের পাদটিকা, ১/২৭১)

 

তাওয়াফের ফযিলত সম্বলিত কয়েকটি হাদীসে মুবারাকা

          * হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন যে, আমি রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে ইরশাদ করতে শুনেছি: যে গণনা করে তাওয়াফের ৭ চক্কর সম্পন্ন করলো অতঃপর ২ রাকাত নফল আদায় করলো, তবে তা একজন গোলাম মুক্ত করার সমান এবং তাওয়াফ করার সময় মানুষের প্রতিটি কদমের বিনিময়ে তার জন্য ১০টি নেকী লেখা হয় আর তার ১০টি গুনাহ মুছে দেয়া হয় এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। (মুসনাদে ইমাম আহমদ, ৩/৭, হাদীস ৪৫৫৫) * রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে বায়তুল্লাহর তাওয়াফের ৭ চক্কর সম্পন্ন করলো এবং তাতে কোন অহেতুক কথা বললো না তবে তা একজন গোলাম মুক্ত করার সমান। (মুজামে কবীর, ৯/৮২, হাদীস ১৭২৩৩) * হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا থেকে বর্ণিত যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ৫০বার তাওয়াফ করলো, গুনাহ থেকে এমনভাবে বের হয়ে গেলো যেনো আজই তার মা থেকে জন্ম নিয়েছে। (তিরমিযী, ২৩৪ পৃষ্ঠা, হাদীস ৮৬৬) * হাদীসে পাকে রয়েছে: যে বৃষ্টির সময় তাওয়াফের ৭ চক্কর দিলো, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (কুতুল কুলুব, ২/১৯৮)

 

 

যখন আমরা বৃষ্টিতে তাওয়াফ করে নিলাম তখন...

          হযরত আবু ইকাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: একবার আমি বৃষ্টির সময় হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সাথে বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করলামযখন তাওয়াফ সম্পন্ন হওয়ার পর মকামে ইব্রাহিম উপস্থিত হলাম এবং ২ রাকাত নফল আদায় করলাম তখন হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আমাকে বললেন: নতুনভাবে আমল শুরু করো, কেননা তোমার মাগফিরাত হয়ে গেছে, অতঃপর বললেন: যখন আমরা রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে বৃষ্টির সময় তাওয়াফ করেছিলাম তখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদেরকে এভাবেই ইরশাদ করেছিলেন।

(ইবনে মাজাহ, ৫০৮ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩১১৮)

 

                        سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটাই হলো কাবার উচ্চ শান...! * কাবা শরীফ বরকতময় স্থান * এর বরকতে আরোগ্য লাভ হয় * কাবা শরীফের প্রতি অন্তর ধাবিত থাকে * কাবা শরীফের বরকতে নিরাপত্তা নসীব হয় * কাবা শরীফের বরকতে কিয়ামতের দিন নিরাপত্তা প্রাপ্তদের সাথে উঠা নসীব হবে * যে কাবা শরীফের আশ্রয় গ্রহণ করে, তাকে আশ্রয় প্রদান করা হয় * কাবা শরীফের তাওয়াফ করা একটি অদ্বিতীয় নেকী * তাওয়াফকারীর প্রতিটি কদমে ১০টি নেকী অর্জিত হয়, ১০টি গুনাহ মুছে দেয়া হয় এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে  দেয়া হয়হায়!