Book Name:Fazail e Bait ul ALLAH
বর্ণিত রয়েছে: যখন হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام কাবা শরীফ নির্মাণ করেন, তখন ফেরেশতারা ৫টি পাহাড়ের পাথর এনে তাঁর খেদমতে উপস্থাপন করলো, তা দিয়েই কাবা শরীফ নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই ৫টি পাহাড়ের নাম হলো: (১) লেবানন পাহাড় (২) তুর পাহাড় (৩) যিতা পাহাড় (৪) জুদি পাহাড় (যার উপর হযরত নূহ عَلَیْہِ السَّلَام এর নৌকা অবস্থান করেছিলো) (৫) এবং হেরা পাহাড়, যা মক্কায়ে মুকাররমায় অবস্থিত। (সুবুলুল হুদা, ১/১৪৭)
ওলামায়ে কিরাম বলেন: যেহেতু খানায়ে কাবা নামাযের জন্য কিবলা এবং নামায ৫ ওয়াক্ত ফরয, এরই সাথে সম্পর্ক রেখে কাবা শরীফের নির্মাণ ৫টি পাহাড় থেকে হয়েছে। (তুহফায়ে মে’রাজুন নবী, ৩৬৬ পৃষ্ঠা)
কাবা শরীফ সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কাবা শরীফ হলো আল্লাহর ঘর, এর কতইনা অনন্য শান রয়েছে। আসুন! কাবা শরীফ সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য শুনি: * ওলামায়ে কিরাম বলেন: কাবা শরীফের ভবনের আকৃতি চতুর্ভূজ আকারের, এ কারণেই কাবা শরীফকে কাবা (অর্থাৎ ৪ কোণ বিশিষ্ট ঘর) বলা হয়। * কাবা শব্দের একটি অর্থ হলো: উচ্চ এবং উত্তিত বস্তু। পূর্বেকার যুগে লোকেরা কাবা শরীফের সম্মান ও মহত্বের কারণে নিজেদের ঘর গোলাকৃতির বানাতো এবং কাবা শরীফ থেকে উঁচু করতো না, সুতরাং এই পবিত্র ঘর আশেপাশের সকল ঘর থেকে উঁচু ছিলো, তাই একে কাবা বলা হয়েছে। (তুহফায়ে মে’রাজুন নবী, ৪০০ পৃষ্ঠা) * কাবা শরীফের পূর্বে গিলাফ ছিলো না, সর্বপ্রথম তুব্বা’ হিমইয়ারী কাবা শরীফে গিলাফ পরিধান করান, এর পর কাবা শরীফে গিলাফ পরিধানের রীতি হয়ে গেলো। * কাবা শরীফের গিলাফের রঙ প্রথমে কালো ছিলো না, বিভিন্ন যুগে অন্যান্য রঙের গিলাফও পরিধান করানো হয়েছে, তবে এখন অনেক বছর ধরে কালো রঙেরই গিলাফ পরিধান করা হয়।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কাবা শরীফ খুবই বরকতময় স্থান, এর অসংখ্য বৈশিষ্ট রয়েছে, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ اِذْ جَعَلْنَا الْبَیْتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمْنًا ؕ
(পারা ১, সূরা বাকারা, আয়াত ১২৫) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং (স্মরণ করুন,) যখন আমি এ ঘরকে মানবজাতির জন্য আশ্রয়স্থল ও নিরাপদ স্থান করেছি।
এই আয়াতে করীমায় কাবা শরীফের ২টি বৈশিষ্ট বর্ণিত হয়েছে: (১) কাবা শরীফ মানুষের জন্য প্রত্যাবর্তনের স্থান (২) কাবা শরীফ নিরাপদ স্থান।
(১) কাবা শরীফের প্রতি অন্তর ধাবিত
প্রসিদ্ধ মুফাসসীরে কুরআন, হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: * এই স্থানে সম্পূর্ণ জগতের লোকেরা জড়ো হয় * যে একবার সেখানে আসে, সে বারবার আসতে চায়, পথের বিপদাপদের তোয়াক্কা করে না * যে দুনিয়াবী ব্যস্ততা থেকে অবসর হয়ে যায় এবং নিজের শেষ বয়সে পা রাখে তখন আল্লাহ, আল্লাহ করার জন্য পবিত্র কাবায়