Book Name:Fazail e Bait ul ALLAH

বাদশাহ সালামত আমাকে সঠিক উত্তর দিলে আমি তার চিকিৎসা করতে পারবো। এ কথা শুনে উজির অনেক খুশি হলো, সাথেসাথে সেই আলিম সাহেবকে বাদশাহের নিকট নিয়ে গেলো, বাদশাহ এবং এই আলিম সাহেবকে একা ছেড়ে দেয়া হলো, সেই আলিম সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন: হে বাদশাহ! আপনি কি বায়তুল্লাহর ক্ষতি করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন? বাদশাহ বললো: হ্যাঁ! এমনই করেছি। আলিম সাহেব বললেন: এই কারণেই আপনার এই রোগটি হয়েছে, এই ঘরের মালিক অন্তরের বিষয়ও ভালভাবে জানেন, আপনি এই ইচ্ছা থেকে বিরত থাকুন! তার ঘর (অর্থাৎ কাবা শরীফ) এবং এর খাদেমদের সাথে কল্যাণ ও মঙ্গলের ইচ্ছা করুন! যদি আপনি এরূপ করেন তবে আপনি আরোগ্য লাভ করবেন। অতএব বাদশাহ নিজের ইচ্ছা পরিবর্তন করলো এবং কাবা শরীফের সম্মান করা, মক্কাবাসীদের সাথে কল্যাণ ও মঙ্গলময় আচরণ করার ইচ্ছা করলো, ব্যস এই ইচ্ছা পোষণ করতেই, বাদশাহ সালামতের আরোগ্য নসীব হয়ে গেলো।

          তখন তুব্বা’ হিমইয়ারী কাবার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনয়ন করলো এবং কাবা শরীফে ৭টি মূল্যবান গিলাফ পরিধান করালো, তুব্বা’ হিমইয়ারীই প্রথম ব্যক্তি, যে খানায়ে কাবায় গিলাফ পরিধান করিয়েছিলো। (তারিখে মদীনা দামেশক, ১১/১০-১২)

 

                        سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা শুনলাম! কাবা শরীফের কিরূপ মহান বরকত রয়েছে, তুব্বা’ হিমইয়ারী কাবা শরীফের বেআদবীর শুধুমাত্র ইচ্ছা পোষণ করেছিলো যে, কাহ্হার আল্লাহ পাকের গযব তার উপর পড়লো, অতঃপর যখন সে কাবা শরীফের সম্মানের ইচ্ছা পোষণ করলো তখন রহমান ও রহীম আল্লাহ পাকের রহমতের নদীতে জোয়ার এলো এবং তুব্বা’ হিমইয়ারীর তখনই নাকের ব্যথা থেকে আরোগ্য নসীব হয়ে গেলো।

          এই ঘটনা থেকে আমরা ২টি বিষয় শিখলাম:

 

(১) কাবা শরীফের বেআদবীর পরিণাম

          প্রথম বিষয় হলো যে, কাবা শরীফের বেআদবী করা ধ্বংসে নিপতিত হওয়ার কারণ। দেখুন! তুব্বা’ হিমইয়ারী কাবা শরীফকে তখনো ক্ষতি করেনি, ব্যস তখন শুধু ইচ্ছা পোষণ করেছিলো ফলে তার উপর কাহ্হার আল্লাহ পাকের গযব বর্ষিত হয়ে গেলো। অনুরূপভাবে আবরাহা নামক বাদশাহের ঘটনাও প্রসিদ্ধ, এই দূর্ভাগা কাবা শরীফকে ধ্বংস করার জন্য হাতির উপর আরোহিত বাহিনী নিয়ে এসেছিলো, কিন্তু সে জানতো না যে, এই ঘরের মালিক (অর্থাৎ আল্লাহ পাক) অশেষ ক্ষমতাবান, আল্লাহ পাক তার অহঙ্কারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন এবং ছোট ছোট পাখির (অর্থাৎ আবাবিলের) মাধ্যমে তার হাতির উপর আরোহিত সৈন্যদের ধ্বংস করে দিলেন। আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে ইরশাদ করেন:

اَلَمْ  تَرَ کَیْفَ فَعَلَ رَبُّکَ  بِاَصْحٰبِ الْفِیْلِ ؕ(۱) اَلَمْ  یَجْعَلْ  کَیْدَھُمْ  فِیْ  تَضْلِیْلٍ ۙ(۲) وَّ  اَرْسَلَ
عَلَیْہِمْ  طَیْرًا  اَبَابِیْلَ ۙ(۳) تَرْمِیْہِمْ  بِحِجَارَۃٍ  مِّنْ سِجِّیْلٍ ۪ۙ(۴) فَجَعَلَہُمْ کَعَصْفٍ مَّاْکُوْلٍ (۵)

(পারা ৩০, সূরা ফীল, আয়াত ১-৫) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে মাহবূব! আপনি কি দেখেন নি! আপনার প্রতিপালক ওই হস্তী আরোহী বাহিনীর কি অবস্থা করেছেন? তাদের চক্রান্তগুলোকে কি ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেন নি? এবং তাদের উপর পাখির ঝাঁকসমূহ প্রেরণ করেছেন;