Fazail e Bait ul ALLAH

Book Name:Fazail e Bait ul ALLAH

 

আদবের বরকতে ঈমান নসীব হয়ে গেলো

          প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুনিয়ায় তাশরীফ আনার অসংখ্য বছর পূর্বের কথা; তুব্বা’ হিমইয়ারী, যে তার যুগের বাদশাহ ছিলো, সে ঐ সৌভাগ্যবান যে, যখন সে তার ওলামাদের মুখে রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কল্যাণময় আলোচনা শুনলো তখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি ঈমানও আনয়ন করলো এবং রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নামে একটি চিঠিও লিখলো, যার বংশ পরিক্রমায় হযরত আইয়ুব আনসারী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর নিকট পৌঁছে আর তিনি তা রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর খেদমতে উপস্থাপন করেন(তাফসীরে সীরাতুল জিনান, পারা ২৫, সূরা দুখান, ৩৭নং আয়াতের পাদটিকা, ৯/১৯৬) প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তুব্বা’ হিমইয়ারীর প্রশংসা করলেন এবং তাঁকে মন্দ বলতেও নিষেধ করলেন।

(মু’জামু কবীর, ৩/৫৩৯, হাদীস ৫৮৮১)

          যাক! তুব্বা’ হিমইয়ারী পুরো দুনিয়ার বাদশাহ ছিলো, তাঁর ঈমান গ্রহণের পূর্বের কথা, একদিন তার মনে হলো যে, পৃথিবী ভ্রমন করা উচিৎ এবং দেখা উচিৎ যে, মানুষ কোন অবস্থায় রয়েছে, সুতরাং সে শাহী প্রতাপ সহকারে সফরে রওনা হলো, বাদশাহের বাহিনী যেই শহরে পৌঁছতো, সেই শহরের লোকেরা সামনে অগ্রসর হয়ে স্বাগত জানাতো, সম্মান প্রদর্শন করতো, বাদশাহ সালামত প্রতিটি শহর থেকে ওলামাদের নিজের সাথে নিতো এবং সামনে অগ্রসর হয়ে যেতো, এভাবে প্রায় এক লক্ষ ওলামা বাদশাহের সাথে হয়ে গেলোবাদশাহ সালামত সফর করতে করতে মক্কায়ে মুকাররমা পৌঁছলো এখানকার অবস্থা অন্যান্য শহরের চেয়ে ভিন্ন ছিলো, তুব্বা’ হিমইয়ারী যেই শহরে পৌঁছতো, লোকেরা সামনে অগ্রসর হয়ে স্বাগত জানাতো কিন্তু মক্কায়ে মুকাররমার লোকেরা না তো বাদশাহকে স্বাগত জানালো, না সম্মান জানালো। এটা দেখে বাদশাহের অনেক রাগ হলো, সে তার উজিরকে ডেকে নিজের রাগ প্রকাশ করলো, তখন উজির বললো: বাদশাহ সালামত! মক্কায়ে মুকাররমায় একটি ঘর রয়েছে, যাকে এই লোকেরা বায়তুল্লাহ বলে, এই লোকেরা ব্যস এই ঘরের সম্মান করে থাকে। একথা শুনে বাদশাহর আরো রাগ এলো, বাদশাহ নির্দেশ দিলো যে, এই ঘরটি ধ্বংস করে দাও এবং এখানকার মানুষদের হত্যা করে দাও। مَعَاذَ الله)

          যখনই বাদশাহ এই নির্দেশ জারি করলো, তখনই তার মাথায় প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়ে গেলো, পাশাপাশি চোখ, নাক এবং মুখ থেকে এমনভাবে দূর্গন্ধময় পানি প্রবাহিত হওয়া শুরু হলো যে, কোন মানুষ তার নিকট এক সেকেন্ডের জন্যও অবস্থান করতে পারতো না। বাদশাহর এই অবস্থা দেখে ডাক্তারকে চিকিৎসার আদেশ দেয়া হলো, হাকীম, চিকিৎসক পালাক্রমে চেষ্টা করতে লাগলো, কিন্তু বাদশাহর রোগ ধরতে পারা এবং এর চিকিৎসা করা তো দূরের কথা, কেউই বাদশাহের পাশে অবস্থানও পারতো নাঅবশেষে সকল ডাক্তাররা এটাই বললো যে, আমরা জমিনি রোগের চিকিৎসা তো করতে পারি, আসমানি রোগের চিকিৎসা আমাদের নিকট নেই।

          বাদশাহ খুবই কষ্টে ছিলো, কোন চিকিৎসাই হচ্ছিলো না, এই অবস্থায় রাত হয়ে গেলো, এক আলিম সাহেব উজিরের নিকট আসলো এবং বললো: আমি কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবো,