Fazail e Bait ul ALLAH

Book Name:Fazail e Bait ul ALLAH

যাওয়ার চেষ্টা করে * ঐ সকল আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَیْهِمُ السَّلَام যাঁদের সম্প্রদায়ে আযাব এসেছিলো, তাঁরা তাঁদের সম্প্রদায়ের ধ্বংসে পর সাধারণত এখানে আগমন করতেন এবং শেষ পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করতেন * প্রত্যেক জায়গা থেকে মুসলমানরা এই দিকেই মুখ করে নামায পড়ে * অনুরূপভাবে কোন মুসলমান কোথাও মারা গেলো, কবরে তার মুখ কাবা শরীফের দিকেই করে দেয়া হয়ে। অতএব জানা গেলো; কাবা শরীফ হলো মহান যিয়ারতের স্থান এবং মানুষের প্রত্যাবর্তনের স্থান।

(তাফসীরে নঈমী, পারা ১, সূরা বাকারা, ১২৫নং আয়াতের পাদটিকা, ৭০৮ পৃষ্ঠা)

 

উট তাওয়াফ করলো

          ওলামায়ে কিরাম বলেন: কাবা শরীফের বৈশিষ্টের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট এটাও যে, যখন থেকে কাবা শরীফ নির্মিত হয়েছে, তখন থেকে আজ পর্যন্ত কখনোই তাওয়াফকারী শূন্য হয়নি, সর্বদা মানুষ, জ্বিন বা ফেরেশতারা এর তাওয়াফ করতেই থাকে (শিফাউল গিরাম বিআখবারিল হারাম, ১/৩৫৪)

          এমনকি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর খেলাফতকালে যখন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কাবা শরীফে আক্রমন করে, তখন একেবারে হারামে পাকের তাওয়াফের স্থানেই পাথর বর্ষণ করা হচ্ছিলো, লোকেরা তাদের প্রাণ বাঁচানোর চিন্তায় ছিলো, কোন মানুষকে তাওয়াফ করতে দেখা যায়নি কিন্তু আল্লাহ পাকের শান দেখুন! তখনও একটি উট আনন্দচিত্তে কাবা শরীফের তাওয়াফে মগ্ন ছিলো।

(রওদ্বুল উনুফ, ১/৩৭১)

ফেরেশতারাও কাবা শরীফের তাওয়াফ করেন

          বর্ণিত আছে: যেখানে আমাদের কাবা শরীফ অবস্থিত, এর একেবারে সোজা আসমানে ফেরেশতাদের কিবলা অবস্থিত, যাকে বায়তুল মামুর বলা হয়, সেখানে ফেরেশতাদের দল থাকে এবং একদিনে ৭০ হাজার ফেরেশতা সেখানে নামায পড়ে, যে একবার পড়ে নেয়, দ্বিতীয়বার কখনোই তার পালা আসে না। (হুসনুত তানাব্বু লিমা ওয়ারাদা ফিত তাশাব্বু, ১/২৪৮) অতঃপর যখন সন্ধ্যা হয় তখন এই ৭০ হাজার ফেরেশতারা পৃথিবীতে এসে যায় এবং কাবা শরীফের তাওয়াফ করে(হুসনুত তানাব্বু লিমা ওয়ারাদা ফিত তাশাব্বু, ১/৩৬১)

                        سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটাই হলো কাবা শরীফের বৈশিষ্ট যে, এটা সেই মুবারক স্থান, যেখানে সর্বদা আল্লাহ পাকের ইবাদত হতেই থাকে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

(২) কাবা শরীফ হলো নিরাপদ স্থান

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কাবা শরীফের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো যে, আল্লাহ পাক কাবা শরীফ এবং এর আশেপাশের হেরেমকে নিরাপদ স্থান বানিয়েছেনআল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

وَ مَنْ دَخَلَہٗ کَانَ اٰمِنًا ؕ

(পারা ৪, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৯৭)                                  কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং যে ব্যক্তি সেটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সে নিরাপত্তার মধ্যে থাকে।