Book Name:Fazail e Bait ul ALLAH

আসে না, তাদেরকে দ্বীনি পরিবেশে সক্রিয় করে মসজিদ পূর্ণ কার্যক্রমএ অংশগ্রহণ করানো, তাদের থেকে অগ্রিম সময় নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দোকান, ঘর বা অফিসে গিয়ে সাক্ষাত করা, তাদেরকে সুন্নাতে ভরা ইজতিমা ও মাদানী মুযাকারায় আসার মানসিকতা প্রদান করা, সম্মিলিত ইতিকাফ ও মাদানী কোর্স (আমল সংশোধন কোর্স, ফয়যানে নামায কোর্স ইত্যাদি) করার উৎসাহ দেয়া, মাদানী কাফেলায় সফর করানো, তাদের ঘরে তাফসীর শোনা শোনানোর হালকার ব্যবস্থা করা, তাদেরকে প্রাপ্তবয়ষ্কদের মাদরাসাতুল মদীনায় অংশগ্রহণ করানো, তাদের আনন্দ, শোক, অসুস্থ্যতা ও মৃত্যু ইত্যাদিতে সাক্ষাত করতে যাওয়া এবং সমস্যায় মাকতুব ও তাবীযাতে আত্তারীয়ার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি এই বিভাগের উদ্দেশ্যে অন্তর্ভূক্ত।

 

কুরবানির সুন্নাত ও আদব

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন কুরবানির সুন্নাত ও আদব শোনার সৌভাগ্য অর্জন করিপ্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মানুষ কুরবানির ঈদের দিন এমন কোন নেকী করে না, যা আল্লাহ পাকের নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে বেশি প্রিয়, এই কুরবানি কিয়ামতের দিন নিজের শিং, পশম এবং খুর সহকারে আসবে আর কুরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বে আল্লাহ পাকের নিকট কবুল হয়ে যায়, অতএব আনন্দচিত্তে কুরবানি করো। (তিরমিযী, ৩/১৬২, হাদীস ১৪৯৮) * কুরবানির পশুকে শোয়ানোর পূর্বেই কিবলা নির্ধারন করে নিন, শোয়ানোর পর বিশেষ করে পাথুরী মাটিতে হেঁচড়িয়ে কিবলামুখী করা নির্বাক পশুর জন্য প্রচন্ড কষ্টের কারণ হয়ে থাকে। * জবাই করাতে এতটুকু কাটবেন না যাতে ছুরি গর্দানের হাঁড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়, কেননা এটা অযথা কষ্ট দেয়া। * যতক্ষণ পশু পরিপূর্ণভাবে ঠান্ডা হয়ে যাবে না, তার পা কাটবেন না, চামড়াও ছাড়াবেন না, জবাই করে নেয়ার পর যতক্ষণ রুহ বের হয়ে যাবে না, ছুরি কর্তিত গলায় স্পর্শ করবেন না, হাতও স্পর্শ করবেন নাঅনেক কসাই দ্রুত ঠান্ডাকরার জন্য জবাই করার পর ছটফট করা পশুর গর্দানের জীবিত চামড়া উঁচিয়ে ছুরি ঢুকিয়ে হৃদপিন্ডের রগ কেটে দেয়, অনুরূপভাবে ছাগল জবাই করে সাথেসাথেই বেচারার গর্দান মুছড়ে দেয়, নির্বাক পশুর সাথে এরূপ অত্যাচার করবেন না।

 

ঘোষণা

          কুরবানির অবশিষ্ট সুন্নাত ও আদব তরবিয়্যতি হালকায় বর্ণনা করা হয় অতএব তা জানতে তরবিয়্যতি হালকায় অবশ্যই অংশগ্রহন করুন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد