Jannat Ke Khareedar

Book Name:Jannat Ke Khareedar

দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামী উম্মতের সংশোধনের জন্য সারা পৃথিবীতে ইসলামের বাহার ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যেই অসংখ্য মজলিশ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে, তার মধ্যে একটি বিভাগ হলো আইটি ডিপার্টমেন্ট”, যার কাজ হলো ইনফরম্যাশন টেকনোলজির মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষকে ইসলামের শিক্ষা প্রদান করা, আইটি বিভাগের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জগদ্বীখ্যাত ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যা শরীফ এবং কুরআনের অনুবাদ কানযুল ঈমানকে সফটওয়্যার আকারে প্রদান করা, যা শত প্রসংশার উপযুক্ত, তাওকীত তথা সময় নিরূপন বিভাগের সহায়তায় একটি মোবাইল অ্যাপলিকেশন Prayer Times নামে প্রদান করেছে, যা ২৭ লাখের বেশি জায়গার নামাযের বিশুদ্ধ সময় চিহ্নিত করণে অতিশয় উপকারী। আল মদীনা লাইব্রেরী সফটওয়্যারের মাধ্যমে দুইশত এর বেশি কিতাব সহজেই অধ্যয়ন করা যায়। اَلْحَمْدُ لِلّٰه আইটি বিভাগ এছাড়া অনেক মোবাইল অ্যাপলিকেশনও প্রস্তুত করেছে, যার মধ্যে আল কুরআন, কুরআন টিচার, ফয়যানে হাদীস, দারূল ইফতা আহলে সুন্নাত, রূহানী চিকিৎসা এবং এছাড়াও আরো অনেক অ্যাপলিকেশন প্রস্তুত করে দাওয়াতে ইসলামীর ওয়েব সাইটে আপলোড করেছে, আপনারাও এই অ্যাপলিকেশন দাওয়াতে ইসলামীর ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

মাযারে হাজিরীর আদব

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মাকতাবাতুল মদীনার পুস্তিকা মাযারাতে আউলিয়া কি হিকায়াতথেকে মাযারে হাজিরীর পদ্ধতি এবং এর মাদানী ফুল শ্রবন করি;

 

        * আউলিয়ায়ে কিরামের رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام পবিত্র মাযারে হাজিরী দেয়া এবং তাঁদের ফয়েয অর্জন করা বুযুর্গদের অভ্যাস ছিলো, যেমনটি হাম্বলি ফিকাহ শাস্ত্রের অনুসারীদের শায়খ ইমাম খাল্লাল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি যখনই কোন সমস্যায় পতিত হতাম, আমি ইমাম মূসা কাযিম বিন জাফর সাদিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর মাযারে হাজির হয়ে তাঁর উসিলা প্রদান করতাম। আল্লাহ পাক আমার সমস্যাকে সহজ করে আমাকে আমার বাসনা দান করে দিতেন। (তারিখে বাগদাদ, ১/১৩৩) * হযরত ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমার যখন কোন কিছুর প্রয়োজন হয়, দুই রাকাত নামায  আদায় করে ইমামে আযম আবু হানিফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নূরানী মাযারে গিয়ে দোয়া প্রার্থনা করি, আল্লাহ  পাক আমার প্রয়োজনাদী পূরণ করে দেন। (আল খাইরাতুল হিসান, ২৩০ পৃষ্ঠা) * (যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ পাকের ওলীর মাযার শরীফে বা) যেকোন মুসলমানের কবরের যিয়ারতে যেতে চায় তবে মুস্তাহাব হলো, প্রথমে নিজের বাড়িতে (মাকরূহ সময় না হলে) দুই রাকাত নফল নামায পড়া, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসী এবং তিনবার সূরা ইখলাস পড়া আর এই নামাযের সাওয়াব কবরস্থ বুযুর্গকে পৌঁছে দেয়া, আল্লাহ পাক সেই মৃত বান্দার কবরে নূর সৃষ্টি করবেন এবং সেই (সাওয়াব প্রেরণকারী) ব্যক্তিকে অনেক বেশি সাওয়াব দান করবেন। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী, ৫/৩৫০)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

ঘোষণা

        মাযারে হাজিরীর অবশিষ্ট আদব শেখা শেখানোর হালকা বর্ণনা করা হবে, অতএব তা জানার জন্য শেখা শেখানোর হালকায় অবশ্যই অংশগ্রহন করুন।