Jannat Ke Khareedar

Book Name:Jannat Ke Khareedar

মুস্তফার সন্তুষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করুন!

        হে আশিকানে রাসূল! আমাদেরও উচিৎ যে, আমরাও মাহবুবে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   কে সন্তুষ্ট  করার চেষ্টা করা * নেককাজ করা * গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা * দুরূদে পাক পাঠ করা * আল্লাহর যিকির করা * অধিকহারে কুরআনে করীমের তিলাওয়াত করা * প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   এর দুঃখী উম্মতের দুঃখ দূর করা * আশিকানে রাসূলের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করা * অপরের কাজে আসা, এমনটি করলে তবে اِنْ شَآءَ الله আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী, মুহাম্মদে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন, যদি রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   সন্তুষ্ট হয়ে যান  তবে اِنْ شَآءَ الله আল্লাহ পাকও সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।

 

হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

        হে আশিকানে রাসূল! * হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হলেন সাহাবীয়ে রাসূল * প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   এর ফুফী হযরত উম্মে হাকীম رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর নাতি বা এভাবে বলুন যে, একটু দূর সম্পর্কের মালিকে জান্নাত, কাসিমে নেয়ামত صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   এর ভাতিজা ছিলেন
* প্রাথমিক  পর্যায়ের অর্থাৎ শুরুর দিকেই ইসলাম কবুল করে ইসলামের সীমারেখায় প্রবশে করেছিলেন, ইসলাম কবুল করার দিক দিয়ে তিনি চতুর্থ বা পঞ্চম নাম্বারে ছিলেন * আশারায়ে মুবাশশারা (অর্থাৎ প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মুখে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ জন সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان)  এর অন্তর্ভূক্ত ছিলেন * রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে এতই ভালবাসতেন যে, তিনি একের পর এক নিজের দুজন শাহজাদীকে হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর বিবাহ বন্ধনে দিয়েছেন। (নুযহাতুল কারী, ১/৫৪৪)

        * হাদীসে পাকে রয়েছে: আল্লাহ পাক আমাকে ওহী প্রেরণ করেছেন যে, আমি যেনো আমার দুজন কন্যার বিবাহ উসমানের সাথে দিই। (মুজামু আওসাত, ২/৩৪৬, হাদীস ৩৫০১) * অপর এক হাদীসে পাকে রয়েছে: যদি আমার ১০০ জন্য কন্যা থাকতো, তাদের মধ্যে একজন ওফাত হতো তবে আমি দ্বিতীয়জনকে উসমানের বিবাহ বন্ধনে দিতাম, তার ইন্তিকাল হলে তবে তৃতীয়জনকে উসমানের বিবাহ বন্ধনে দিতাম, এমনকি আমি আমার ১০০ জনের ১০০ জন শাহজাদীকেই একের পর এক উসমানের বিবাহ বন্ধনে দিতাম। (কানযুল উম্মাল, কিতাবুল ফাযায়িল, ১৩তম অংশ, ৭/২১, হাদীস ৩৬২০১) * মাওলায়ে কায়েনাত, মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর   ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বললেন: উসমান হলো সেই, যাঁকে ফেরেশতারা যুন-নুরাঈন বলতো, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর জামাতা, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। (রিয়াদ্বুন নাদ্বিরাতু, ৩য় অংশ, ৬ পৃষ্ঠা)

        * ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর শাহাদতের পর অধিকাংশ  মুসলমানের মতে হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ খলিফা হন, ১২ বছর পর্যন্ত তিনি খলিফা ছিলেন,  ১৮ যিলহজ্জ ৩৫ হিজরীতে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত পিপাসার্ত অবস্থায় শহিদ করা হয়।

(নুযহাতুল কারী, ১/৫৪৪-৫৪৫)