Naam e Muhammad Ki Barkat

Book Name:Naam e Muhammad Ki Barkat

কিয়ামত পর্যন্ত বরং কিয়ামতের পরে জান্নাতীরা জান্নাতে চলে যাবে, তখনও হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নাত তথা প্রশংসা অব্যাহত থাকবে

 

গুমানে নকসে জাহাঁ নেহী

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এখানে একটি বিষয় চিন্তা করুন! উদাহরণস্বরুপ (For Example) যেই বান্দার হাজারো গুণাবলি রয়েছে, সাথে কিছু দোষ ত্রুটিও থাকে তবে তার শুধুমাত্র প্রশংসা করা হয় না কেননা যে ব্যক্তি তার গুণাবলির দিকে তাকাবে সে প্রশংসা করবে, যে তার দোষ ত্রুটির দিকে দেখবে সে তার মন্দ বিষয়াদি বর্ণনা করবে, এমন ব্যক্তি যার মধ্যে লক্ষাধিক যোগ্যতা (Qualities) থাকুক না কেনো যদি তার মধ্যে কিছু দোষ ত্রুটি থাকে তবে শুধুমাত্র তার প্রশংসা করা হবে না, তার মন্দ বিষয়াদিও বলা হয় কিন্তু উৎসর্গ হয়ে যান! আল্লাহ পাকের প্রিয় হাবিব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে মুহাম্মদ বানিয়েছেন, অর্থাৎ মহান ব্যক্তিত্ব যাঁর প্রতিটি মূহুর্ত, প্রতিটি সময়ে, প্রতিটি জায়গায়, যমিন আসমানের আয়তনের মধ্যে শুধু প্রশংসা আর প্রশংসা করা হয়, সুতরাং এই পবিত্র নাম মুবারক দ্বারা বোঝা গেলো যে মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মহান ব্যক্তিত্ব যিনি প্রত্যেক ত্রুটি থেকে পবিত্র

 

শত্রুও প্রশংসা করতে বাধ্য

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভেবে দেখুন! আল্লাহ পাকের প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে কিরকম চমৎকার উপমাহীন নাম দ্বারা ধন্য করেছেন রেওয়ায়েতের মধ্যে রয়েছে: কাফিরগণ যাদের গুণাবলি দেখা নসিবই হয় না, তারা শুধুমাত্র দোষ ত্রুটিই দেখতো, তারাও যখন হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ব্যাপারে কিছু মন্দ বলতে চাইতো সেই মহান সত্তার মধ্যে কোন দোষ ত্রুটি দেখতে পেতো না কিন্তু তারপরও তারা মন্দ থেকে বিরত রইলো না, সুতরাং যখন তারা مَعَاذَ الله রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মন্দ বিষয়াদি বলতে চাইতো তখন বললো: মুহাম্মদ এমনই, মুহাম্মদ তেমনই এখন তাদের নিজেদেরই লজ্জাবোধ হতো যে আমরা বলছি মুহাম্মদ (অর্থাৎ যার প্রশংসাই প্রশংসা করা হয়) মন্দ, সুতরাং তারা নিজেরাই নবীয়ে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর একটি কাল্পনিক নাম রাখলো, এখন তারা যখনই মন্দ করতে চাইতো তো বলতো: مُذَمَّمْ (অর্থাৎ যার মন্দই আর মন্দ করা হয়) সে এমনই যখন তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করলো তো বুখারি শরীফের হাদিসে পাকে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বললেন: (হে আমার সাহাবারা!) তোমরা কি আশ্চর্য হও না যে আল্লাহ পাক আমাকে কিভাবে কাফেরদের গালি থেকে হেফাযত করেছেন, তারা مُذَمَّمْ কে গালমন্দ করে وَ اَنَا مُحَمَّد صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আর আমি مُذَمَّمْ নই বরং আমি তো  মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

(বুখারি, কিতাবুল মানাকিব, মাজা ফি আসমায়ি রাসূলিল্লাহ, ৯০৩ পৃ:, হাদিস: ৩৫৩৩)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد