Naam e Muhammad Ki Barkat

Book Name:Naam e Muhammad Ki Barkat

وَسَلَّم এর দান অনুদানের আলোচনা রয়েছে আর সেটার দাল প্রতিটি কল্যাণের দাল (অর্থাৎ পথপ্রদর্শক) এতে কোন সন্দেহ নেই (ওয়াসায়িলে ফেরদাউস, ৫১ পৃ:)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

মুহাম্মদ দোজানের মালিক মুখতার

          سُبْحَانَ الله! কেমন সুন্দর নাম, যেটার প্রতিটি অক্ষরে হিকমত নিহিত রয়েছে দরুদে পাকের প্রসিদ্ধ কিতাবদালায়িলুল খয়রাত রয়েছে: মুহাম্মদ শব্দের উভয় মীমের অর্থ: مُلْک (অর্থাৎ বাদশাহী), হা এর মানে: رَحْمَت (রহমত) দাল এর অর্থ: دَوَام (অর্থাৎ সর্বদা)

 

          উদ্দেশ্য হলো এটা যে مُلْک (অর্থাৎ বাদশাহী) ২টি: () একটি পৃথিবীর বাদশাহী এবং () দ্বিতীয়ত আরিখরাতের বাদশাহী, সুতরাং মুহাম্মদ শব্দের এই ৪টি হরফে ইশারা রয়েছে আল্লাহ পাক উভয় জাহানের রহমত, দয়া অনুগ্রহ ভরা বাদশাহী সব সময়ের জন্য মুহাম্মদ
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে দান করেছেন

 

মুহাম্মদ নাম জান্নাতে প্রবেশকারী

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটা তো প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নাম মুবারক মুহাম্মদ এর বরকত, যদি কোন বান্দা এই নাম মুবারকের বরকত নেয়ার জন্য নিজের বাচ্চাদের নাম মুহাম্মদ রাখে তবে তারও অনেক বরকত নসিব হয়ে থাকে: * রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেন: যার পুত্র সন্তান জন্ম হলো আর সে আমার ভালোবাসা বরকত হাসিলের জন্য তার নাম মুহাম্মদ রাখলো তো সে এবং তার পুত্র উভয়ে জান্নাতে যাবে (কানযুল উম্মাল, কিতাবুন নিকাহ, আল বাবুস সাবি, আল ফসলুল আউয়াল, অংশ: ১৬, খন্ড: , পৃ: ১৭৫, হাদিস: ৪৫২১৫) * এক হাদিসে পাকে রয়েছে: যে আমার নাম থেকে বরকতের আশা করে আমার নামে নাম রাখলো, কিয়ামতের পর্যন্ত সকাল সন্ধা তার উপর বরকত নাযিল হতে থাকবে

(আল আহাদুল মাছানী লি ইবনে আবি আসিম, খন্ড: , পৃ: ২৭৫, হাদিস: ২৮০০)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

اِنْ شَآءَ الله পুত্র সন্তান হবে

          ইমাম আতায়ি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে এটা চাই যে তার স্ত্রীর গর্ভে ছেলে সন্তান হোক তার উচিত নিজের হাত তার স্ত্রীর পেঠের উপর রেখে বলা: اِنْ کَانَ ذَکَرًا فَقَدْ سَمَّیْتُہٗ مُحَمَّدًا অর্থাৎ যদি এটা ছেলে সন্তান হয় তবে আমি তার নাম রাখলাম মুহাম্মদ اِنْ شَآءَ الله পুত্র সন্তান হবে

(আজবিয়াতুল মারদিয়াতু লিস সাখাভী, অংশ: , পৃ: ৩৮১, হাদিসের ব্যাখ্যা: ১০০)