Naam e Muhammad Ki Barkat

Book Name:Naam e Muhammad Ki Barkat

حَمْد থেকে উৎপত্তি হয়েছে আর হামদ সর্বদা শেষে করা হয়ে থাকে, যেমন * আমরা খাবার খায় তো শেষে বলি: اَلْحَمْدُ لِلّٰه * যখন পানি পান করি শেষে বলি: اَلْحَمْدُ لِلّٰه এইভাবে যেকোন কাজ হোক, সেটা করার পর হামদ করে থাকি, এই পর্যন্ত যে আল্লাহ পাক জান্নাতবাসীদের ব্যাপারে বলেন:

وَ اٰخِرُ  دَعْوٰىہُمْ اَنِ  الْحَمْدُ  لِلّٰہِ  رَبِّ  الْعٰلَمِیْنَ

(পারা: ১১, সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০)         কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর তাদের প্রার্থনার সমাপ্তি হবে যে, সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহর জন্য, যিনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক

          প্রতীয়মান হলো; হামদ তথা প্রশংসা শেষেই করা হয়ে থাকে, এখন পূর্ববর্তী নবীদের নাম দেখে নিন! তাঁদের মধ্যে কারো নাম মুহাম্মদ ছিলো না, কেনো? এজন্য যে তখনো নবুয়তের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিলো, আল্লাহ পাক সবার শেষে মুহাম্মদ মুস্তফা, আহমদে মুজতবা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে প্রেরণ করেছেন, তাঁর নাম মুহাম্মদ রেখে এটা বলে দিয়েছেন যে এখন প্রশংসা করা হয়ে গেছে, সুতরাং এখন তাঁর পরে আর কোন নবী আসবে না

 

মুহাম্মদ শব্দের প্রতিটি অক্ষরের আলাদা আলাদা হিকমত

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র নাম মুহাম্মদ খুবই (Unique) অনন্যএটার প্রতিটি অক্ষরে আলাদা আলাদা হিকমত রয়েছে একবার খাজা কমরুদ্দীন সিয়ালবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উপস্থিত ছিলেন আর নাতখানি হচ্ছিলো, তার মাঝে নাতখাঁ এই শেরটি পড়লো:

আসসলাম! হে মীম, হা অর মীম দাল

আসসলাম বে নযির বে মেছাল

 

        এটার উপর এক ব্যক্তি আরয করলো: হুযুর! এই শেরের মধ্যে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নাম মুবারককে ভেঙ্গে পড়া হয়েছে, এটা তো বিয়াদবি? খাজা কমরুদ্দীন সিয়ালবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: না..!! এটা বিয়াদবি নয় কেননা মুহাম্মদ নামের প্রতিটি অক্ষরের অসংখ্য বরকত রয়েছে, এজন্য ইশক সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিটি অক্ষরের আলাদা আলাদা বরকত অর্জন করার জন্য সেটাকে পৃথক পৃথকভাবে পড়ে থাকে অতঃপর তিনি আরবদের একটি শে পড়লেন:

مُحَمَّدٌ مِیْمُہٗ مَوْتُ لِکُفْرِ                        حَیَاۃُ الْقَلْبِ لِلْمُؤْمِنِ بِحَاہٍ

وَمِیْمٌ ثَانِی مَوْجُ الْمَوَاہِبِ                               وَ دَالُ خَیْرٍ دَالٌ لَا اِشْتِبَاهٍ

 

        অর্থাৎ মুহাম্মদ শব্দের প্রথম মীম কুফরের মৃত্যু আর সেটার হা এর মধ্যেমুসলমানদের অন্তরের হায়াত (অর্থাৎ জীবন), সেটার দ্বিতীয় মীম মাওয়াহিব অর্থাৎ নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ