Hazrat Musa Ki Shan o Azmat

Book Name:Hazrat Musa Ki Shan o Azmat

اَلْـحَـمْـدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْـعٰـلَـمِـیْـنَ وَالصَّـلٰوۃُ وَالسَّـلَامُ عَـلٰی سَـیِّـدِ الْمُـرْسَـلِـیْـنَط

اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْذُ بِا للهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ ط بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِط

 

اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَارَسُوْلَ الله                 وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَا حَبِیْبَ الله

اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَا نَبِیَّ الله                وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَانُوْرَ الله

 

نَوَیْتُ سُنَّتَ الْاِعْتِکَاف

(অর্থাৎ আমি সুন্নাত ইতিকাফের নিয়্যত করলাম)

 

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখনই মসজিদে প্রবেশ করবেন, মনে করে নফল ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কেননা যতক্ষণ মসজিদে থাকবেন, ইতিকাফের সাওয়াব অর্জিত হতে থাকবে মনে রাখবেন! মসজিদে খাওয়া, পান করা, ঘুমানো বা সেহেরী, ইফতার করা এমনকি যমযমের পানি বা দম করা পানি পান করারও শরয়ীভাবে অনুমতি নেই, তবে যদি ইতিকাফের নিয়্যত করা হয় তবে এই সকল বিষয় জায়িয হয়ে যাবেইতিকাফের নিয়্যতও শুধুমাত্র পানাহার বা ঘুমানোর জন্য করা উচিৎ নয় বরং এর উদ্দেশ্য যেনো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিরই হয়। “ফতোওয়ায়ে শামী”তে বর্ণিত রয়েছে: যদি কেউ মসজিদে পানাহার বা ঘুমাতে চায় তবে তবে ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কিছুক্ষণ আল্লাহ পাকের যিকির করুন অতঃপর যা ইচ্ছা করুন (অর্থাৎ এবার চাইলে পানাহার বা ঘুমাতে পারেন)

 

দরুদ শরীফের ফযিলত:

           প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর পুরনূর  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اِنَّ اللّٰہَ وَکَّلَ بِقَبْرِیْ مَلَکًااَعْطَاہُ اَسْمَاعَ الْخَلَائِقِ فَلَا یُصَلِّیْ عَلَیَّ اَحَدٌ اِلٰی یَوْمِ الْقِیَامَۃِ اِلَّا اَبْلَغَنِیْ بِاِسْمِہٖ وَ اِسْمِ اَبِیْہِ هٰذَا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ قَدْ صَلّٰی عَلَیْكَ নিশ্চয় আল্লাহ পাক আমার কবরে একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করেছেন, যাকে সকল সৃষ্টির আওয়াজ শুনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। অতএব কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার উপর দরূদ পাক পড়ে, তবে সে আমাকে তার নাম এবং তার পিতার নামসহ উপস্থাপন করে, (বলে:) অমুকের ছেলে অমুক আপনার প্রতি এই দরূদ শরীফ পাঠ করেছে। (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, কিতাবুল আদইয়াতি, ১০/২৫১, হাদীস ১৭২৯১)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

বয়ান শ্রবণ করার নিয়্যত সমূহ

          প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَفْضَلُ الْعَمَلِ اَلنِّيَّۃُ الصَّادِقَۃُ অর্থাৎ সত্য নিয়্যত সবচেয়ে উত্তম আমল(জামে সগির, ৮১ পৃ:, হাদিস: ১২৮৪)

          হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়বয়ান শ্রবণ করার পূর্বেও ভালো