Book Name:Hazrat Musa Ki Shan o Azmat
হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہا কে ছিলেন?
হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللہِ عَلَیْہا ফেরাউনের স্ত্রী ছিলেন। হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللہِ عَلَیْہا যখন জাদুকরদেরকে হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নিকট পরাজিত হতে দেখেন তখন সাথেসাথেই তাঁর অন্তরে ঈমানের নূর চমকে উঠলো এবং তিনি ঈমান আনয়ন করলেন। যখন ফেরাউন জানতে পারলো তখন সেই অত্যাচারী তাঁর উপর অনেক অত্যাচার করলো, অনেক মারার পর চারটি পেরেক গেঁথে হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللہِ عَلَیْہا এর চার হাত পায়ে লোহার পেরেক ঠুকে চারটি পেরেককে এমনভাবে আটকে দিলো যে, তিনি নড়তেও পারতেন না। তাঁকে সূর্যের তাপে নিক্ষেপ করলো এবং ভারী পাথর তাঁর বুকের উপর রাখার আদেশ দিলো। যখন পাথর আনা হলো তখন হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللہِ عَلَیْہا আল্লাহ পাকের দরবারে আরয করলেন: হে দয়ালূ রব! আমার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও! অতএব তাঁকে জান্নাতে তাঁর জন্য সাদা মুক্তো দ্বারা নির্মিত তাঁর ঘর দেখানো হলো, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর রূহ কবজ করে নিলেন। যখন তাঁর শরীরে পাথর রাখা হলো তখন তাঁর শরীরে রূহ ছিলো না, সুতরাং কোন ব্যাথা অনুভব হলো। ইবনে কিসান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: তাঁকে জীবিত উঠিয়ে জান্নাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছিলো, ব্যস তিনি পানাহার করছেন।
(ওমদাতুল ক্বারী, কিতাবু আহাদীসিল আম্বিয়া, ১১/১৪৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! বর্ণনাকৃত ঘটনা থেকে জানা গেলো! আল্লাহর পথে কষ্ট এবং পরীক্ষা সহ্য করা এটি আল্লাহ ওয়ালাদের অভ্যাস ছিলো, যেমনটি এখনই আমরা শুনলাম যে, ঈমান আনয়ন করার পর আল্লাহ পাকের একজন নেককার বান্দিকে তাঁর দূর্ভাগা স্বামী ফেরাউন অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছিলো, কিন্তু উৎসর্গ হয়ে যান! তাঁর সাহস, তাঁর ধৈর্য, প্রেরণা এবং ঈমানী চেতনার প্রতি, কেননা এই যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট তো সহ্য করে নিলেন, প্রাণ দেয়াকেও পছন্দ করলেন তবুও ঈমানের দৌলত যেনো হাতছাড়া না হয়। সুতরাং যে সকল ইসলামী ভাই এবং ইসলামী বোনদেরকে তাদের পরিবার বা আত্মীয় স্বজনরা সুন্নাতের অনুসরন এবং দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে কষ্ট দেয়, মারে, বিদ্রুপ করে অনুরূপভাবে ঐসকল সৌভাগ্যবান যারা পূর্বে কুফরের অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছিলো এবং আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে এখন ইসলাম গ্রহণ করে নিয়েছে, যার কারণে পরিবার বা আত্মীয় স্বজনরা কষ্ট দিচ্ছে তারাও হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہا এর এই ঘটনা থেকে শিক্ষা অর্জন করে আল্লাহর পথে আগত পরীক্ষায় মন ছোট করার পরিবর্তে ধৈর্য ও দৃঢ়তার সহিত অটল থাকা উচিৎ। এছাড়াও আল্লাহ পাকের নিকট একাগ্রতার সহিত দোয়াও করা উচিৎ। কখনো এরূপ ভাবা উচিৎ নয় যে, আমি তো কারো ক্ষতি করিনি, কাউকে কষ্ট দেইনি তবে আমাকে কেন কষ্ট দেয়া হচ্ছে ইত্যাদি। অনুরূপভাবে অনেক মূর্খ এমন সময়ে কুফরী বাক্য পর্যন্ত বলে দেয়। একটু ভাবুন তো! হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہا কাকে কষ্ট দিয়েছিলেন, অনুরূপভাবে আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কাকে কষ্ট দিয়েছিলেন, কিন্তু