Book Name:Hazrat Musa Ki Shan o Azmat
হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর পিতার নাম ছিলো ইমরান। তিনি হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর বংশধর ছিলেন। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام হযরত ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام এর ওফাতের চারশত (৪০০) বছর এবং হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর চেয়ে সাতশত (৭০০) বছর পর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একশত বিশ (১২০) বছর বয়স আয়ু লাভ করেন।
(আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া, ১/৩২৬, ৩২৯। তাফসীরে সাভী, আল আরাফ, ১০৩নং আয়াতের পাদটীকা, ২/৬৯৬)
হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর মায়ের নাম হলো ইউহান্দ এবং তিনি লাওয়া বিন ইয়াকুবের বংশধর। আল্লাহ পাক তাঁকে স্বপ্নে বা ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁর অন্তরে এই বিষয়টি ঢেলে ইলহাম করেন যে, তুমি হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام কে দুধ পান করাও, অতঃপর যখন তুমি তাঁর ব্যাপারে ভীত হবে যে, প্রতিবেশিরা জেনে যাবে, তারা অভিযোগ করবে এবং ফেরাউন তাঁকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে, তখন নির্ভয়ে তাঁকে মিসরের নীল নদে ফেলে দিও আর তাঁর ডুবে যাওয়া বা মারা যাওয়ার আশঙ্কা ও তাঁর বিচ্ছেদের দুঃখ করো না, নিশ্চয় আমি তাঁকে তোমার নিকট ফিরিয়ে আনবো এবং তাঁকে রাসূলদের عَلَیْهِمُ السَّلَام অন্তর্ভুক্ত করবো। সুতরাং তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہَا কয়েকদিন হযরত মূসা عَلَیْهِمُ السَّلَام কে দুধ পান করান। এই সময়ে হযরত মুসা عَلَیْهِمُ السَّلَام না কাঁদতেন, না তাঁর কোলে কোন নড়াচড়া করতেন আর না তাঁর বোন ছাড়া আর কেউ তাঁর জন্ম সম্পর্কে জানতো। যখন হযরত মূসা عَلَیْهِمُ السَّلَام ’র মা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا ফেরাউনের কারণে ভীত হলেন তখন হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام কে একটি সিন্ধুকে রেখে (যা বিশেষ করে এই উদ্দেশ্যেই বানানো হয়েছিলো) রাতের বেলা নীল নদে ভাসিয়ে দিলেন। (তাফসীর খাযিন, আল কিসাস, ৭নং আয়াতের পাদটীকা, ৩/৪২৩। তাফসীরে মাদারিক, আল কিসাস, ৭নং আয়াতের পাদটীকা, ৮৬১ পৃষ্ঠা। জালালাঈন, আল কিসাস, ৭নং আয়াতের পাদটীকা, ৩২৬ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা কি জানেন! নীল নদে ভাসতে ভাসতে সেই পবিত্র সিন্ধুক (যাতে হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام ছিলেন, তা) কোন সৌভাগ্যবান ব্যক্তিত্বের নিকট গেলো, আল্লাহ পাকের এই পবিত্র নবী عَلَیْہِ السَّلَام এর নাম কোন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব রেখেছেন এবং এই মুবারক নামের অর্থ কি? আসুন! শুনি:
হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নাম কে রেখেছেন?
হযরত ইমাম আলাউদ্দীন আলী বিন খাযিন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত আসিয়া رَحْمَۃُ اللہِ عَلَیْہا কে তাঁর (অর্থাৎ হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর) নাম রাখার জন্য বলা হলো তখন তিনি বললেন: আমি এর (এই শিশুর) নাম মূসা রাখলাম। (তাফসীরে খাযিন, ২০তম পারা, আল কিসাস, ৭নং আয়াতের পাদটীকা, ৩/৩৫৮) যেহেতু হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام কে পানি এবং গাছের মাঝখানে পেয়েছিলেন এবং কিবতি ভাষায় পানিকে “মূ” আর গাছকে “সা” বলা হয়। (তাফসীরে মনসুর, ২০তম পারা, আল কিসাস, ৪নং আয়াতের পাদটীকা, ৬/৩৯১) তাই তাঁর নাম এটাই রাখা হলো।
(ফয়যানে হযরত আসিয়া, ২২ পৃষ্ঠা)