Book Name:Hazrat Musa Ki Shan o Azmat
রক্ত হয়ে যেতো। ফেরাউন স্বয়ং পিপাসায় অতিষ্ট হয়ে গেলো তখন সে সতেজ গাছের নির্ঝাষ চুষে নিতো, সেই নির্ঝাস মুখে আসতেই রক্ত হয়ে যেতো। সাতদিন পর্যন্ত রক্ত ছাড়া কোন কিছু পান করার ছিলো না, অতঃপর হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নিকট দোয়ার আবেদন করলো এবং ঈমান আনয়ন করার ওয়াদা করলো। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام দেয়া করলেন, এই বিপদও দূর হয়ে গেলো কিন্তু তারা তবুও ঈমান আনয়ন করলো না।
(তাফসীরে বাগভী, আল আরাফ, ১৩৩নং আয়াতের পাদটীকা, ২/১৪১-১৫৯)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
৭ নাম্বার নেক আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একজন মুসলমানের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো তার ঈমান। তাই আমাদের ঈমান রক্ষার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করা উচিত । ঈমান সংরক্ষণের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো কোন কামিল পীরের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা। اَلْحَمْدُ لِلّٰه শায়খে তরীক্বত আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বর্তমান যুগের মহান ওলী ও কামিল পীর, তিনি دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুরিদ করে থাকেন । আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ তার মুরিদদেরকে নেকীর অভ্যস্ত হতে এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকার পদ্ধতি সম্বলিত শরীয়ত ও তরিকতের সমন্বিত সমষ্টি “৭২টি নেক আমল” নামে চমৎকার একটি উপহার প্রদান করেছেন। উক্ত ৭২ টি নেক আমলের মধ্যে ৭ নাম্বার নেক আমলটি হল: আপনি কি আজ শাজারা শরীফ থেকে কিছু না কিছু অজিফা পড়েছেন, আওরাদ ও অজিফা পড়ার বরকতে আমরা অনেক সমস্যা ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে পারবো। তাই নেক আমল করতে, গুনাহ পরিহার করতে এবং ঈমানের হেফাযতের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হতে, দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান, দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি কাজে অংশগ্রহণ করুন, মাদানী কাফেলায় সফর করুন এবং নেক আমলের উপর আমল করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হাদীস শরীফ সংক্রান্ত মাদানী ফুল
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! হাদীস শরীফ সংক্রান্ত কয়েকটি মাদানী ফুল শোনার সৌভাগ্য অর্জন করি। প্রথমে দু'টি নববী বাণী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم লক্ষ্য করুন: (১) তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কিত চল্লিশটি (৪০) হাদীস মুখস্থ করবে এবং আমার উম্মতের কাছে পৌঁছে দেবে, আল্লাহ পাক (কেয়ামতের দিন) তাকে এই সম্মানের সাথে উত্থাপিত করবেন যে, সে ফকীহ হবে এবং কেয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করবো এবং তার পক্ষে সাক্ষ্য দেব। (মিশকাতুল মাসাবীহ, ১/৬৮, হাদীস: ২৫৮) (২) তিনি বলেছেন: আল্লাহ তাকে বরকত দান করুন যে আমার হাদীস শোনে, মুখস্থ করে এবং অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয়। (তিরমিযী, ৪/২৯৪ হাদীস: ২৬৬৫) * হাদীস বলতে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র বাণী, কর্ম, পরিস্থিতি এবং বক্তৃতা বোঝায়। (নুযহাতুল কারী, ১/৮৭) এই জ্ঞান অর্জন করা ফরযে কেফায়া। যদি সমস্ত মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে কেউ জ্ঞানী