Hazrat Musa Ki Shan o Azmat

Book Name:Hazrat Musa Ki Shan o Azmat

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিশ্চয় প্রত্যেক মানুষ এই বাস্তবতা সম্পর্কে ভালভাবে জানে যে, তাকে একদিন অবশ্যই মরতে হবে এবং নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে, কিন্তু আফসোস! এরপরও অনেক লোক আল্লাহ পাক ও রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণী ও আল্লাহর আযাবকে ভূলে গিয়ে অসংখ্য দুনিয়াবী নেয়ামত পাওয়ার পরও দিনরাত গুনাহে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলে সমাজে আশ্চার্যজনক, ভয়ঙ্কর রোগ এবং আপদে পূর্ণ হচ্ছে। এরূপ লোকদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর আসা আযাব থেকে শিক্ষা অর্জন করা উচিৎ। বনী ইসরাঈলের অবাধ্য লোকেরাও ঐ লোকদের অন্তর্ভূক্ত হতো, যাদেরকে আল্লাহ পাক অসংখ্য নেয়ামত দান করেছিলেন, কিন্তু আফসোস! এরপরও তারা আল্লাহ পাক এবং তাঁর রাসূল হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর অবাধ্যতা করতো, দিনরাত গুনাহে লিপ্ত থাকতো, যার ফলে তাদের উপর বিভিন্ন যন্ত্রণাদায়ক আযাব আসতো। আসুন! তাদের উপর আগত আযাব সম্পর্কে শ্রবন করি এবং শিক্ষা অর্জন করি।

 

 

ফেরাউনিদের উপর আগত আযাব সমূহ

          যখন জাদুকররা ঈমান আনয়নের পরও ফেরাউনিরা নিজেদের কুফর ও অবাধ্যতায় অটল রইলো, তখন তাদের উপর আল্লাহ পাকের নিদর্শন একে একে আসতে থাকে, কেননা হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর দোয়া ছিলো যে, হে দয়ালূ রব! ফেরাউন পৃথিবীতে অনেক অবাধ্যতা করছে এবং তার সম্প্রদায়ও ওয়াদা খেলাফী করছে, সুতরাং তাদেরকে এমন আযাবে লিপ্ত করে দাও, যা তাদের জন্য শাস্তি, আমার সম্প্রদায় ও এর পরবর্তীতে আগতদের জন্য শিক্ষা ও উপদেশ স্বরূপ হয়! সুতরাং আল্লাহ পাক তুফান পাঠান, হলো কী, মেঘ আসলো, অন্ধকার হয়ে গেলো এবং প্রবল বৃষ্টি হতে লাগলো। কিবতীদের ঘরে পানি জমে গেলো, এমনকি তারা সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো, পানি তাদের ঘাড় পর্যন্ত এসে গেলো আর তাদের মধ্যে যারা বসলো তারা ডুবে গেলো। তারা না নড়তে পারতো, না কোন কাজ করতে পারতো। শনিবার থেকে শুরু করে পরবর্তী শনিবার পর্যন্ত সাতদিন এই বিপদে লিপ্ত ছিলো। অথচ বনী ইসরাঈলদের ঘর তাদের ঘরের সাথে সংযুক্ত ছিলো কিন্তু তাদের ঘরে পানি এলো না।

          যখন তারা অপারগ হয়ে গেলো তখন হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام কে আরয করলো: আমাদের জন্য দোয়া করুন, যেনো এই বিপদ দূর হয়ে যায়, তখন আমরা আপনার প্রতি ঈমান আনয়ন করবো এবং বনী ইসরাঈলকে আপনার সাথে পাঠিয়ে দিবো। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام দোয়া করলে তুফানের বিপদ কেটে গেলো, পৃথিবীতে সেই সতেজতা এলো যা পূর্বে কখনো ছিলো না। ক্ষেত খামারে ব্যাপক ফলন হলো এবং গাছ গাছালি বেড়ে উঠলো। এটা দেখে ফেরাউনিরা বলতে লাগলো: এই পানি তো নেয়ামত ছিলো এবং ঈমান আনলোনা। এক মাস তো নিরাপদে ছিলো, অতঃপর আল্লাহ পাক পঙ্গপাল পাঠালেন, যারা ক্ষেত খামার, ফল, গাছের পাতা, বাড়ির দরজা, ছাদ, খাট, মালামাল এমনকি লোহার পেরেক পর্যন্ত খেয়ে ফেললো, এমনকি কিবতীদের ঘর ভরে গেলো কিন্তু বনী ইসরাঈলের ঘরে গেলো না।

          এবার কিবতীরা অতিষ্ট হয়ে আবারো হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام কে দোয়ার আবেদন করলো এবং ঈমান আনয়নের ওয়াদা করলো। সাতদিন অর্থাৎ শনিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পঙ্গপালের আপদে লিপ্ত ছিলো, অতঃপর হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর দোয়ায় মুক্তি পেলো। ক্ষেত খামার এবং