Book Name:Deeni Ijtema Ki Barkat
পাগড়ি পরিধান করার অবশিষ্ট সুন্নাত ও আদব
পাগড়ির শিমলার বা প্রান্তের পরিমাণ কমপক্ষে চার আঙ্গুল, বেশি থেকে বেশি (পিঠের অর্ধেক পর্যন্ত) অর্থাৎ এক হাত (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, ২২/১৮২) মধ্যমা আঙ্গুল থেকে কুনুই পর্যন্ত পরিমাপকে এক হাত বলা হয়। কিবলামুখি হয়ে দাড়িয়ে পাগড়ি পরিধান করবেন। (কাশফুল ইলতিবাস, ৩৮ পৃ:) পাগড়ির মধ্যে সুন্নাত হলো আড়াই গজের কম যেনো না হয়, ছয় গজের বেশি যেনো না হয় আর সেটার বাঁধা যেনো গম্বুজের মতো হয়। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, ২২/১৮৬) ডাক্তারী গবেষণা মতে মাথা ব্যাথার জন্য পাগড়ি পরিধান করা খুবই উপকারী। পাগড়ি পরিধানের মাধ্যমে মস্তিস্কে শক্তি যোগায় এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় * পাগড়ি বাঁধার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সর্দি হয় না বা হলেও তার প্রভাব কম হয় * পাগড়ির শিমলা দেহের নিম্ন ভাগের অর্ধাঙ্গ রোগ থেকে রক্ষা করে, কেননা পাগড়ির শিমলা হারাম মজ্জাকে মৌসুমী প্রভাব যেমন ঠান্ডা, গরম ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। পাগড়ির ফযিলত ও উপকারীতার ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানার জন্য শায়খে তরিকত আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর পুস্তিকা “১৬৩ মাদানী ফুল” অধ্যয়ন করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দাওয়াতে ইসলামীর সপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমার শিডিউল অনুসারে “আগুণে জ্বলে গেলে পড়ার দোয়া” মুখস্থ করানো হবে। দোয়াটি হলো:
اَذْھِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ اِشْفِ اَنْتَ الشِّافِی لَا شَافِی اِلَّا اَنْتَ
(সুনানে কুবরা, ৬/২৫৪, হাদিস: ১০৮৬৪)
অনুবাদ: হে সকল মানুষের প্রতিপালক! কষ্ট দূর করে দাও, আরোগ্য দান করো, তুমিই আরোগ্যদানকারী, তুমি ছাড়া কোন আরোগ্যদানকারী নেই। (মাদানী পাঞ্জেসূরা, ২১৯ পৃ:)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: (আখিরাতের বিষয়ে) এক মুহূর্তের জন্য চিন্তা ভাবনা করা ৬০ বছরের (নফল) ইবাদত থেকে উত্তম।
(জামিউস সগীর লিস সুয়ুতী, পৃষ্ঠা- ৩৬৫, হাদীস নং-৫৮৯৭)
আসুন! নেক আমলের পুস্তিকা পূরণ করার আগে “ভালো ভালো নিয়্যত” করে নিই।
১. আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য নিজে নেক আমলের পুস্তিকা থেকে আজকের আখিরাতের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবো এবং অপরকেও উৎসাহিত করবো।
২. যে সকল নেক আমলের উপর আমল হয়েছে, তার জন্য আল্লাহ পাকের হামদ (শুকরিয়া আদায়) করবো।
৩. যার উপর আমল হয় নি, তার জন্য অনুতাপ এবং ভবিষ্যতে আমল করার চেষ্টা করবো।
৪. গুনাহ থেকে বিরতকারী কোনো নেক আমলের উপর (আল্লাহ না করুক) আমল না হলে, তবে তাওবা ও ইস্তিগফার করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গুনাহ না করার সংকল্প করবো।