Deeni Ijtema Ki Barkat

Book Name:Deeni Ijtema Ki Barkat

                                                سُبْحٰنَ الله প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনুমান করুন ! দ্বীনি ইজতিমা কেমন বরকতময়....!!যে এই দ্বীনি ইজতিমায় আসে, তার নিজের কেমন মর্যাদা হবে ...!! যে সামান্য সময়ের জন্য সৌভাগ্যবানদের সাথে বসে যায়, সেও বঞ্চিত হয় না মনে রাখবেন! الله ھُو  এবং حق ھُو এর যিকিরের যরব (আঘাত) লাগানো নিঃসন্দেহে যিকির, তবে তিলাওয়াতে কুরআন, হামদ সানা, মুনাজাত, দোয়া, দরুদ সালাম, নাত, মানকাবাত, খুতবা, দরস, সুন্নাতে ভরা বয়ান ইত্যাদিও আল্লাহর যিকিরের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত সুতরাং দাওয়াতে ইসলামীর সুন্নাতে ভরা ইজতিমাতেও যিকিরের হালকা রয়েছে

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

দ্বীনি ইজতিমার দ্বীনি দুনিয়াবী উপকার

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের দ্বীনি ইজতিমা (উদাহরণস্বরূপ সপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমা, শবে বরাত, শবে মেরাজ, শবে কদর ইত্যাদি অন্যান্য ফযিলত মন্ডিত রাতের ইজতিমায়, সম্মিলিতভাবে মাদানী মুযাকারা ইত্যাদি) তে অংশগ্রহন করতে থাকা উচিত  এর অনেক বরকত রয়েছে দ্বীনি ইজতিমার বরকত যা হাদিস শরীফের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে এবং বর্তমান যুগে বৈজ্ঞানিক গবেষণা (Scientific Researches) যা এই ব্যাপারে হয়েছে, এর সারাংশ উপস্থাপন করছি; শুনুন! আর আন্দোলিত হোন!

          হাদিস শরীফ অনুসারে যিকিরের মজলিস (অর্থাৎ দ্বীনি ইজতিমায়) আগত লোকদের জন্য ফেরেশতারা তাদের ডানা বিছিয়ে দেন * তাদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করা হয় * তাদেরকে রহমত ঢেকে নেয় (মুসলিম, কিতাবুয যিকর ওয়াদ দোয়া, হাদিস: ২৭০০, পৃ: ১০৩৯) * তাদের জন্য ক্ষমার সুসংবাদ রয়েছে তাদের গুনাহ সমূহকে নেকীতে পরিবর্তন (Replace) করে দেয়া হয় (মুজামে কবির, খন্ড: , পৃ: ৫৪৬, হাদিস: ৫৯০৭) * যিকিরের মজলিস (অর্থাৎ দ্বীনি ইজতিমা) এর গণিমত হলো জান্নাত (মুসনদে ইমাম আহমদ, খন্ড , পৃ: ৫৭৩, হাদিস: ৬৮১১) * দ্বীনি ইজতিমাকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে (তিরমিযি, কিতাবুদ দাওয়াত, ৮৫ পৃ:, পৃ: ৮০৪, হাদিস: ৩৫১০) * আল্লাহ পাক যিকিরের মজলিসে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে গর্ব করেন (মুসলিম, কিতাবুয যিকর ওয়াদ দোয়া, বাবু ফাদলিল ইজতিমা, পৃ: ১০৩০, হাদিস: ২৭০১) * এবং ফেরেশতাদের সামনে তাদের সুনাম করেন

(মুসলিম, কিতাবুয যিকর ওয়াদ দোয়া, বাবু ফাদলিল ইজতিমা, পৃ: ১০৩৯, হাদিস: ২৭০০)

          এগুলো ছিলো সেই বরকত যেগুলো হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে, এছাড়া * দ্বীনি ইজতিমার বরকতে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ হয় *  উদাসিনতা দূর হয় * নেকী এবং কল্যাণের উপর একে অপরের উপর সাহায্য করা নসিব হয় * দ্বীনি ইজতিমার বরকতে ঈমান মজবুদ হয় * উভয় জগতের কল্যাণ পাওয়া যায় * সমাজ সংশোধন হয় * পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা, ঐক্যমতের দৌলত নসিব হয়  * এর বরকতে চরিত্র সুন্দর হয় * কাজে উন্নতি হয় * জ্ঞান বৃদ্ধি পায় * সোশ্যাল লাইফ অর্থাৎ সমাজে থাকা এবং জীবন অতিবাহিত করার অভিজ্ঞতা (Experience) বাড়ে * বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্ট অনুসারে ধর্মীয় লোক (Religious People) (যারা জুমার নামাযের জামআতে অন্যান্য দ্বীনি ইজতিমায় অংশগ্রহন করতে থাকে, তারা) অন্যান্য ধর্মীয় লোকদের তুলনায় মানসিক সমস্যার (Psychological Problems) শিকার কম হয় * হতাশা যেটা বর্তমানে এক বড় সমস্যা, উচ্চ রক্ত চাপ, কিডনি