Book Name:Deeni Ijtema Ki Barkat
(৩) দ্বীনি ইজতিমার প্রতি আগ্রহ রাখুন!
প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা! একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমরা এই হাদিসে পাক থেকে শিখেছি, আর সেটা হলো নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দয়ার মাহফিলের পাশ দিয়ে অতিক্রমকারী তিন ব্যক্তি ছিলো, তাদের মধ্যে ২জন তো রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে এসে বসে গেলো, কিন্তু এক ব্যক্তি যে সম্ভবত মুনাফিক ছিলো, সে নিরুপায়ও ছিলো না, তার কোন অক্ষমতাও ছিলো না, এতদসত্বেও সে বারেগাহে রেসালতে, দয়ার মাহফিলে, ইলমে দ্বীন শিখা ও শিখানোর মজলিসে বসাটা সমীচিন মনে করলো না, তাই এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: اَعْرَضَ فَاَعْرَضَ اللہُ عَنْہُ সে বিমুখ হলো তাই আল্লাহ পাকও তার থেকে বিমুখ হয়ে গেলেন।
আল্লাহ! আল্লাহ! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতে আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা......!! কখনো কখনো মনে ধারণা আসে যে, সপ্তাহিক ইজতিমায় যাওয়া, শবে বরাতের ইজতিমা, শবে মেরাজের ইজতিমা বা অন্যান্য ফযিলত মন্ডিত রাতের ইজতিমায় যাওয়াটা কোন ফরজ বা ওয়াজিব নয় ....!! অতএব না গেলেও কোন অসুবিধা নেই।
এটা হলো একটা শয়তানী আক্রমণ। মনে রাখবেন! এখানে ২টি বিষয় রয়েছে: একটা হলো কোন আমলের কঠোরতা (Severity উদাহরণ স্বরুপ গুনাহ ও হারাম হওয়া ইত্যাদি) আরেকটা হলো ঐ আমলের ফলাফল। এই দুইটির মধ্যে কখনো কখনো পার্থক্য (Difference) হয়ে থাকে। এখন দেখুন! দ্বীনি ইজতিমা, যেখানে আল্লাহ ও রাসূলের কথা শোনা ও শোনানো হয়। ইলমে দ্বীন শিখা ও শিখানো হয়। চরিত্র ও আদর্শের সংশোধন করা হয়। কবর ও আখিরাতের স্মরণ করা হয়। আল্লাহ পাকের ভালোবাসা ও ইশকে রাসূলের আলোচনা হয়। এমন মাহফিলে ও দ্বীনি ইজতিমায় যাওয়াটা যদিও ফরজ ওয়াজিব নয়, যদি কেউ এমন দ্বীনি ইজতিমায় অংশ গ্রহন না করে যদিওবা তাকে গুনাহগার বলা যাবে না কিন্তু এর পরিণামের দিকে একটু চিন্তা করুন! যে ব্যক্তি হুযুর নবী করীম
صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মুবারক মাহফিলে কোন অক্ষমতা ছাড়াই অংশ গ্রহন করেনি, সেটা থেকে বিমুখ হয়ে চলে গেলো, নবী করীম صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বললেন: اَعْرَضَ فَاَعْرَضَ اللهُ
عَنْہُ সে
বিমুখ হলো সুতরাং আল্লাহ পাকও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
এটাই হলো দ্বীনি ইজতিমা থেকে বিমুখ হওয়ার পরিণাম....!! আল্লামা বদর উদ্দিন আইনী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এর মাধ্যমে জানা গেলো! যে আলিমে দ্বীনের খেদমতে উপস্থিত (অর্থাৎ ইলমে দ্বীনের হালকা) থেকে বিমুখ হয়,আল্লাহ পাকও তার থেকে বিমুখ হয়ে যান, (অর্থাৎ তার উপর দয়া করেন না)। (উমদাতুল কারী, কিতাবুল ইলম, খন্ড ২, পৃ: ৪৭, হাদিস: ৬৬) এই কারণে কখনোই দ্বীনি ইজতিমা থেকে বিমুখ হবেন না। বিমুখ হওয়ার অর্থ হলো কোন জিনিস থেকে অন্তরকে ফিরিয়ে নেওয়া।
(তাফসীরে বাহরুল মুহিত, পারা ১, সূরা বাকারা, আয়াতের পাদটীকা: ৮৩-৮৬, ১ম খন্ড, পৃ: ৪০৯)
কখনো কখনো এমন হয়ে যায় যে, দ্বীনি ইজতিমা হচ্ছে, আল্লাহ ও রাসূলের আলোচনা হবে, ইলমে দ্বীন শিখা ও শিখানো হবে,তখন মানুষের অন্তর আগ্রহী হয় যে, আমিও ইজতিমায় অংশগ্রহন করবো কিন্তু নিরুপায় হয়ে যায়, কোন অপারগতা এসে যায়, যার কারণে মানুষ