Deeni Ijtema Ki Barkat

Book Name:Deeni Ijtema Ki Barkat

ইজতিমায় অংশগ্রহন করতে পারে না, এটা হলো ভিন্ন কথা কিন্তু দ্বীনি ইজতিমা থেকে অন্তরই ফিরিয়ে নেওয়া অথচ অন্তর ফিরিয়ে নেওয়ার কোন শরয়ী অক্ষমতা নেই, এটা ভয়ানক বিষয়, যদিও সেটাকে গুনাহ হারাম বলা যাবে না, তবে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হবে অবশ্যই

 

আল্লাহ পাকের যিকির থেকে বিমুখ হওয়ার কুফল

          আল্লাহ পাক কুরআনুল করীমে ইরশাদ করেন:

وَ مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَہٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا

(পারা ১৬, সূরা ত্বহা, আয়াত: ১২৪)                  কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ : এবং যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তবে তার জন্য রয়েছে সংকুচিত জীবন

 

            এক অভিমত অনুসারে এই আয়াতে করীমায় ذِکۡرِ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আহবানকারী অর্থাৎ নেকীর দাওয়াত প্রদানকারী এবং আল্লাহ পাকের ইবাদতের দিকে আহবানকারী (তাফসীরে বায়যাবী, পারা১৬, সূরা ত্বহা, আয়াতের পাদটীকা: ১২৪, খন্ড , পৃ: ৭৫, দারুল ফিকির পিডিএফ) তার মানে এটা হবে যে, যিনি আহবানকারী অর্থাৎ নেকীর দাওয়াত প্রদানকারীর প্রতি বিমুখ হবে, তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, তার জন্য সংকুচিত জীবন তাফসীরে সীরাতুল জিনানে রয়েছে: (এক অভিমত অনুসারে) এখানে সংকুচিত জীবন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ার সংকুচিত জীবন আর সেটা হলো বান্দা হিদায়তের অনুসরণ না করা, মন্দ আমল হারাম কাজে সম্পৃক্ত থাকা, অল্পে তুষ্ট হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে লোভ লালসায় আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া, অধিক ধন - সম্পদ থাকা সত্বেও তার প্রশান্তি নসিব না হওয়া (তাফসীরে সীরাতুল জিনান, পারা ১৬, সূরা ত্বহা, আয়াতের পাদটীকা: ১২৪, খন্ড , পৃ: ২৬১, সামান্য রুপান্তর সহকারে)

          এটাই হলো সংকুচিত জীবন...!! আর এটা কার জন্য ? যে যিকির থেকে, নেকীর দিকে আহবানকারী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়

 

দ্বীনি ইজতিমায় আসতে থাকুন!

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাক নেক কাজের প্রতি আগ্রহ (Inclination) দান করলে, দ্বীনি ইজতিমায় অংশ গ্রহন করার তাওফিক দান করেন তো এর উপর আল্লাহ পাকের শোকরিয়া আদায় করা উচিত এবং ধারাবাহিকতার সাথে সেই নেক কাজ করতে থাকা উচিত, এর অনেক বরকত রয়েছে উদাহরণস্বরুপ * এই নেক কাজের বরকতে আল্লাহ রাসূলের ভালোবাসা নসিব হয় নেকীর প্রতি আগ্রহ পাওয়া যায় * গুনাহের প্রতি ঘৃণা জাগ্রত হয় * একে অপরের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় * পরস্পরের সাথে কথা বলার সুযোগ হয় * যেটার ফলে অভিযোগ খারাপ ধারণা ইত্যাদি দূর হয়ে যায় * ইলমে দ্বীন শিখা যায়, আখিরাতের চিন্তা নসিব হয় * আল্লাহ পাকের ভয়ে কান্না করা নসিব হয় * তাওবা করার তাওফিকও লাভ হয় * মোটকথা দ্বীনি ইজতিমা, দ্বীনি পরিবেশে সম্পৃক্ত থাকা * নেকীর উপর স্থায়িত্ব পাওয়া এবং দ্বীনি কাজের দরদ লাভের সর্বোত্তম মাধ্যম