Faizan e Syeda Khatoon e Jannat

Book Name:Faizan e Syeda Khatoon e Jannat

কিরাম! আমি মিসকিন! ক্ষুধার্ত এই মহা মনিষীগণ ঘরে বানানো রুটিগুলো নিয়ে মিসকিনকে দিয়ে দিলেন এবং পানি দিয়েই ইফতার করে নিলেন, পরদিন দ্বিতীয় রোযা রাখা হলো, সন্ধ্যা হলো, রুটি প্রস্তুত করা হলো, দস্তরখানা বিছানো হলো, সূর্য অস্ত যাওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছিলো, এমন সময় দরজায় কড়াঘাত হলো, আওয়াজ আসলো: আমি এতিম, খুব ক্ষুধার্ত দানশীলতার প্রতিবিম্ব এই মনিষীগণ আজও সমস্ত রুটি এতিমকে দিয়ে দিলেন এবং নিজেরা পানি দিয়েই ইফতার করে নিলেন, তৃতীয় রোযা রাখলেন, সন্ধ্যা হলো, দস্তরখানা বিছানো হলো, সূর্য অস্ত যাওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছিলো, এমন সময় আবারো দরজায় আঘাত করা হলো, আওয়াজ আসলো: আমি কয়েদি, ক্ষুধার্ত তৃতীয় দিনও এই পবিত্র মনিষীগণ সমস্ত রুটি সেই ভিক্ষুককে দিয়ে দিলেন আর নিজেরা পানি দিয়েই ইফতার করে নিলেন (খাযায়িনুল ইরফান, পারা: ২৯, সূরা দাহার, আয়াতের পাদটিকা: -, পৃ: ১০৭৩)

 

    سُبْحٰنَ الله! নবী পরিবার ৩টি রোযা রাখলেন আর তিনটি রোযা পানি দিয়েই ইফতার করলেন, আল্লাহ পাক তাঁদের এই কাজগুলো পছন্দ করলেন আর আল্লাহ পাক পারা ২৯, সূরা দাহারের নং আয়াত অবতীর্ণ করলেন, ইরশাদ হচ্ছে:

وَ یُطۡعِمُوۡنَ  الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسۡکِیۡنًا وَّ  یَتِیۡمًا  وَّ  اَسِیۡرًا ﴿۸﴾ اِنَّمَا نُطۡعِمُکُمۡ لِوَجۡہِ اللّٰہِ لَا نُرِیۡدُ مِنۡکُمۡ جَزَآءً   وَّ  لَا  شُکُوۡرًا ﴿۹﴾

(পারা: ২৯, সূরা দাহার, আয়াত: -)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আহার করায় তাঁর ভালোবাসার উপর মিসকিন, এতিম বন্দীকে তাদেরকে বলে, ‘আমরা একমাত্র আল্লাহরই (সন্তুষ্টির) জন্য তোমাদেরকে আহার্য প্রদান করছি, তোমাদের কাছ থেকে কোন বিনিময় কিংবা কৃতজ্ঞতা চাইনা

 

    হে আশিকানে রাসূল! রমযান কিভাবে অতিবাহিত করা উচিত? এই প্রশ্নটি হয়তো প্রতিবছর রমযানের চাঁদ দেখে আমাদের মাথায় এসে থাকে, সায়্যিদায়ে কায়েনাত رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর ঘর মুবারকের এই শিক্ষনীয় ঘটনা এই প্রশ্নটির কি সুন্দর উত্তর দিয়ে দিলো যে, রমযান মাস হলো ধৈর্যধারনের মাস সুতরাং ধৈর্যের মাধ্যমে কাটাতে হবে, রমযানুল মুবারক