Book Name:Hadees e Qudsi Aur Shan e Ghous e Azam
(বাহজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা- ১১৩-১১৪)
سُبْحٰنَ الله! এই হলো গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র দৃষ্টির মহিমা! শায়খ মুহাম্মদ হারবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র হায়াত কত দীর্ঘ হবে, জীবনে কোথায় কোথায় যাবেন, কত দীর্ঘ সফর করবেন- গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র চোখ হতে কিছুই গোপন নয় , তিনি সবকিছু দেখতে পান।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাক হাদীসে ক্বুদসীতে আরো বলেন- وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَ আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। অর্থাৎ আল্লাহর ওয়ালীদের হাত দেখতে আমাদের মতোই। তাঁদেরও ৫টি আঙ্গুল, একটি তালু থাকে। কিন্তু এর শক্তি রক্ত ও মাংসে নয় বরং তা খোদায়ী (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের প্রদত্ত বিশেষ) শক্তিতে কাজ করে ।
গাউসে পাকের হাত মুবারকের ২টি কারামত
(১) শায়খ শিহাবুদ্দীন সুহরাওয়ার্দী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র খুব বিখ্যাত ঘটনা। তিনি বলেন- আমি ইলমে কালামের
কিতাব বেশি পড়তাম। একদিন আমার মামা আমাকে গাউসে পাকের দরবারে নিয়ে উপস্থিত হলেন। গাউসে পাক رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ আমার
বুকে হাত রাখলেন। আমি এই পর্যন্ত ইলমে কালামের
যত কিতাব পড়েছি, গাউসে পাক رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ ‘র হাত রাখার সাথে সাথে সব ভুলে গেলাম। তারপর সাথে সাথে ইলমে লাদুন্নীতে
(অর্থাৎ বিশেষ খোদায়ী জ্ঞান) আমার বক্ষ পরিপূর্ণ হয়ে গেলো। (বাহজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা- ৭০) (২) শায়খ মুহাম্মদ মাহাল্লী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন, আমি গাউসে পাক
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র যিয়ারতের জন্য মিশর থেকে বাগদাদে উপস্থিত
হলাম। কয়েকদিন অবস্থানের পর ফিরে
যাচ্ছিলাম, তখন হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ নিজের
আঙুল মুবারক আমার মুখে পুরে দিয়ে বললেন- এটি বারবার চোষো। আমি তাই করলাম। এর বরকতে বাগদাদ
থেকে মিশর পর্যন্ত পুরো পথে আমার একেবারেই ক্ষুধা অনুভূত হয়নি।
(তাফরীহুল খাতির, পৃষ্ঠা-৬৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাক হাদীসে ক্বুদসীতে আরো ইরশাদ করেন: وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে হাঁটে। এ হলো আল্লাহর ওয়ালীদের শান। আউলিয়ায়ে কিরামের পা’ও অনন্য। বাহ্যিভাবে দেখতে আমাদের পায়ের মতো হলেও এতে খোদায়ী (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের প্রদত্ত বিশেষ) ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। তখন তাঁরা চামড়া মাংসের পা দিয়ে নয় বরং খোদায়ী (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের প্রদত্ত বিশেষ) ক্ষমতা দিয়ে চলাফেরা করেন।