Hadees e Qudsi Aur Shan e Ghous e Azam

Book Name:Hadees e Qudsi Aur Shan e Ghous e Azam

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজ রবিউস সানির ১১ তারিখের রাত যাকে আশিকানে গাউসে আযম গিয়ারভী শরীফও বলে থাকে। আজকের এই ইজতিমায়ে গাউসিয়ায় আমরা পীরানে পীর, পীর দস্তগীর, শাহানশাহে বাগদাদ, হুযুরে গাউসে পাক, বড় পীর, শায়খ আব্দুল ক্বাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে স্মরণ করা, তাঁর আলোচনা শোনা ও শোনানোর জন্য উপস্থিত হয়েছি আল্লাহ পাক আমাদের আসা, বসা, শোনা, শোনানো তাঁর পবিত্র দরবারে কবুল করুক হায়! গাউসে পাকের আলোচনার বরকতে যদি আমাদের সত্যিকার তাওবা নসীব হয়ে যায় হায়! গাউসে পাকের আলোচনার বরকতে যদি তাঁর ফয়যান আমাদের নসীব হয়ে যায়, আমাদের চরিত্র যদি পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, ব্যবহার ভাল হয়ে যায় গাউসে পাকের আলোচনার বরকতে যদি ঈমানের নিরাপত্তা নসীব হয়ে যায় এবং আমরা যদি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিপূর্ণ কাজে রত থেকে নিরাপদে ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে সফলকাম হয়ে যাই।

اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

          اَلْحَمْدُ لِلّٰه শাহানশাহে বাগদাদ, হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রসিদ্ধ ও বিখ্যাত বুযুর্গ ছিলেন * তাঁর পবিত্র নাম- আব্দুল ক্বাদির, উপনাম- আবু মুহাম্মদ * মুহিউদ্দীন (অর্থাৎ দ্বীনের জীবনদাতা) এবং গাউসুস সাকলাইন (অর্থাৎ জ্বিন ও মানবের গাউস, সাহায্যকারী) হলো তাঁর প্রসিদ্ধ উপাধি
* হুযুর গাউসে পাক
, শায়খ আব্দুল ক্বাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৪৭০ হিজরীতে বাগদাদের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন * ৯১ বছর বয়সে এই পৃথিবীতে অবস্থান করেন * ৫৬১ হিজরীতে তিনি পৃথিবী থেকে পর্দা করেন।

 

গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হলেন বেলায়ত বণ্টনকারী

          আল্লামা আব্দুল ক্বাদির আরবালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লেখেন- যখন আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের মধ্যে কাউকে বেলায়তের মুকুট দান করতে চান তবে আদেশ করেন- “এই বান্দাকে আমার মাহবুব হযরত মুহাম্মদে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم র দরবারে পেশ করো” অতএব, তাকে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم র দরবারে পেশ করা হয় রাসুলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন- “একে আমার শাহযাদা আব্দুল ক্বাদির জিলানী (رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ) ‘র কাছে নিয়ে যাওযাতে সে তার যোগ্যতা পরখ করে” অতএব, তাকে গাউসে পাকের দরবারে পেশ করা হয় হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ঐ ব্যক্তির যোগ্যতা দেখে তার নাম মুহাম্মদী বালামে লিখে সিলমোহর লাগিয়ে দেন। তারপর সেই ব্যক্তিকে আবারো রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم র দরবারে পেশ করা হয়ক্বাসিমে নেয়মত, মালিকে জান্নাত, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তার বেলায়তের পক্ষে নির্দেশ জারি করেন তারপর তাকে বেলায়তের মর্যাদা দান করা হয় এবং সে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য জগতে মকবুল হয়ে যায়। (তাফরীহুল খাতির, পৃষ্ঠা - ৪৮)