Book Name:Hadees e Qudsi Aur Shan e Ghous e Azam
গেলো। সেখানে এক পাপাচারী সেই মহিলাকে ধরে ফেললো। তখন সেই নেককার মহিলা চিৎকার করে বলতে লাগলো: اَلْغِیَاثُ یَا غَوْثَ اَعْظَم! اَلْغِیَاثُ یَا غَوْثَ الثَّقَلَیْن !اَلْغِیَاثُ یَا شَیخ مُحْیَّ الدِین ! اَلْغِیَاثُ یَا سَیَّدِیْ عبدَ القادِر অর্থাৎ হে গাউসে আযম, আমাকে সাহায্য করুন। হে মানব ও জ্বিনের সাহায্যকারী, আমাকে সাহায্য করুন। হে শায়খ মুহিউদ্দীন, আমাকে সাহায্য করুন। হে আমার সর্দার আব্দুল ক্বাদির, আমাকে সাহায্য করুন।
হুযুর গাউসে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তখন তাঁর মাদরাসায় ওযু করছিলেন।এতো দূরে থেকেও তিনি ঐ মহিলার ফরিয়াদ শুনতে পেলেন। আর তাকে এভাবে সাহায্য করলেন যে, নিজের জুতা গুহার দিকে নিক্ষেপ করলেন। আল্লাহর কুদরতে তাঁর মুবারক জুতা গুহা পর্যন্ত পৌঁছলো। গিয়ে ঐ পাপাচারীর মাথার উপর পড়লো, যার ফলে সে সেখানেই মৃত্যুবরণ করলো। (তাফরীহুল খাতির, পৃষ্ঠা-৪৫)
سُبْحٰنَ الله! এই হলো আউলিয়া কিরামের শান! কান তো তাঁদেরও আছে কিন্তু তাঁরা আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতাবলে শোনেন ।যেমন কাছেরটা শোনেন, তেমন দূরেরটাও শোনেন।
হাদীসে ক্বুদসীতে আরো ইরশাদ হয়েছে: وَ بَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।
অর্থাৎ আমাদের যেমন চোখ আছে আল্লাহর ওয়ালীদেরও চোখ আছে। কিন্তু এই চোখের মহিমা অনন্য । ওয়ালীদের চোখ আছে ঠিক- কিন্তু, তাঁরা আমাদের মতো চোখ দিয়ে নয় বরং খোদায়ী (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের প্রদত্ত বিশেষ) ক্ষমতা দিয়ে দেখেন। সুতরাং তাঁরা এমন জিনিস দেখেন যা আমরা দেখি না। তাঁদের চোখের সামনে কোনো দেয়াল, আড়াল বরং বছরের দূরত্বও প্রতিবন্ধক হয়না, তাঁরা দূরে ও কাছে সমান দেখেন।
গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র চোখ মুবারকের কারামত
বাহজাতুল আসরার- এ উল্লেখ রয়েছে- হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ‘র কাছে শায়খ আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হারবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নামে একজন খাদিম ছিলো। তিনি খাটো ছিলেন কিন্তু হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁকে ‘মুহাম্মদ ত্বওয়ীল’ (লম্বা মুহাম্মদ) বলে ডাকতেন। শায়খ মুহাম্মদ হারবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন, একদিন আমি আরয করলাম- হুযুর, আমার উচ্চতা তো সাধারণ মানুষের তুলনায় খাটো। আপনি আমাকে ‘মুহাম্মদ ত্বওয়ীল’ (লম্বা মুহাম্মদ) বলে কেন ডাকেন? তিনি বললেন, এই কারণে যে, তুমি ত্বওয়ীলুল উমর হবে (অর্থাৎ লম্বা হায়াত পাবে) এবং তুমি ত্বওয়ীলুল আসফার হবে (জীবনে লম্বা সফর করবে)।
বর্ণনাকারী বলেন- বাস্তবে তাই ঘটলো। শায়খ মুহাম্মদ হারবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ১৩৭ বছর হায়াত পেয়েছিলেন এবং তিনি অনেক লম্বা ও বড় সফর করেছেন। এমনকি কোহে-ক্বাফেও তিনি গেছেন।