Book Name:Behtareen Khatakar Kon

করো তবে আল্লাহ পাক কবুল করবেন)। এটা শুনেই মহিলাটি খুশি হয়ে গেলো আর খুশিতে বললো: আমার একটি বাগান রয়েছে, আমি আমার গুনাহের কাফফারা স্বরূপ সেই বাগানটি আল্লাহর পথে সদকা করলাম। (কিতাবুত তাওয়াবীন, ৯৪ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

ভুল মাসআলা বলবেন না!

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই বর্ণনা থেকে আমরা অসংখ্য মাদানী ফুল শিখতে পারি, যেমন; (১) একটি মাদানী ফুল হলো যে, আমাদের কখনো না জানা অবস্থায় নিজের পক্ষ থেকে কোন শরয়ী মাসআলা বলা উচিৎ নয়, যে (ব্যক্তি) না জেনে দ্বীনি মাসআলা বলে, সে নিজেও ধ্বংস হয় ও অন্যকেও ধ্বংসে পতিত করে। (২) দ্বিতীয় মাদানী ফুল হলো যে, যদি খোদা না করুন কেউ কাউকে ভুল মাসআলা বলে দিলো অথবা কখনো সঠিক মাসআলা বলতে গিয়ে ভুল করে বসলো, তবে তার উচিৎ যে, এর সংশোধন করে নেয়া, দেখুন! হযরত আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখন সঠিক মাসআলা জানতে পারলেন তখন তিনি তা সংশোধন করলেন এবং কিভাবে সংশোধন করলেন; সারাদিন মদীনায়ে মুনাওয়ারার অলিগলিতে ঘোষণা করতে লাগলেন যে, কেউ কি আছো, যে ঐ মহিলা সম্পর্কে আমাকে বলবে (যাতে আমি তাকে সঠিক মাসআলাটি বলতে পারি)।
سُبْحٰنَ الله! সাহাবায়ে কিরামের رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ কর্ম অনন্যই ছিলো।

          সেই যুগে স্পষ্ট যে, পরস্পরের সাথে যোগাযোগের এমন মাধ্যম ছিলো না যেমনটি বর্তমান রয়েছে * আজকাল তো ফেইসবুক * ইউটিউব * মোবাইল ফোন * ইনস্ট্রাগ্রাম না জানি কি কি আবিষ্কার করা হয়ে গেছে আর পাশাপাশি অসতর্কতাও বেড়ে বেছে * মানুষ ভুল মাসআলা শেয়ার করে থাকে * মেসেজ পাঠিয়ে দেয় * দ্বীনি জ্ঞান তো থাকেই না, ব্যস কোন মেসেজ আসলো, কোন পোস্ট আসলো, ভালো লাগলো আর সামনে বাড়িয়ে দিলো, একটি বাটন চাপার দেরি, এক দুজন নয়, অসংখ্য, হাজারো বরং লাখো লাখো মানুষ পর্যন্ত সেই ভুলটি পৌঁছে যায়। এখন এর সংশোধন কে করবে? দ্বীনি জ্ঞান থাকলো তো বুঝতে পারবে যে, আমি ভুল মাসআলা শেয়ার করে দিয়েছি।

          যাইহোক! কোন ভুল মাসআলা, কোন ভুল বিষয়কে দ্বীনের সাথে সম্পর্কিত করে সাধারণের মাঝে পৌঁছানো খুবই ভয়ানক, আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে ইরশাদ করেন:

وَ مَنْ اَظْلَمُ  مِمَّنِ افْتَرٰی عَلَی اللّٰہِ  کَذِبًا

(পারা ৭, সূরা আনআম, আয়াত ২১)                    কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম কে? যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে।

 

          প্রতীয়মান হলো; আল্লাহ পাক সম্পর্কে মিথ্যা রচনাকারী সবচেয়ে বড় অত্যাচারী, যখন আমরা কাউকে দ্বীনি মাসআলা বলি তখন এর উদ্দেশ্য এটাই তো যে, আল্লাহ ও রাসূল (صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) এই প্রসঙ্গে এটা বলেছেন, যদি সেই মাসআলা ভুল হয় তবে এটি আল্লাহ পাকের প্রতি মিথ্যা হয়ে যাবে আর আল্লাহ পাকের ব্যাপারে মিথ্যা রচনাকারী সবচেয়ে বড় অত্যাচারী। আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা! আল্লাহ পাক আমাদের হেফাযত করো।