Book Name:Behtareen Khatakar Kon
এরপর হযরত হাবীব আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সকলের হক আদায় করলেন, যাদের সাথে সুদের লেনদেন ছিলো, সব শেষ করলেন এবং আল্লাহ পাকের ইবাদতে লিপ্ত হয়ে গেলেন। (তাযকিরাতুল আউলিয়া, ৫৬ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সম্মান কি পূনরায় ফিরে পাওয়া যায় না...?
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভাবুন তো! তাওবাকারীর উপর আল্লাহ পাকের রহমত কতো দ্রুত বর্ষণ হয়ে থাকে। সাধারণত বলা হয়: সম্মান পূনরায় ফিরে পাওয়া যায় না।
হতে পারে প্রবাদ হিসেবে তা কিছুটা সঠিকও, অবশ্য আল্লাহ পাকের অনুগ্রহের প্রতি দৃষ্টি দেয়া হলে, বুযুর্গানে দ্বীনের জীবনোপায় অধ্যয়ন করা হলে, তবে প্রতীয়মান হয় যে, যদি বান্দা সঠিক পথ অবলম্বন করে তবে হারিয়ে যাওয়া সম্মানও পূনরায় ফিয়ে পায়।
শর্ত শুধুমাত্র একটাই: মানুষ যেনো সঠিক পথ অবলম্বন করে। আউলিয়ায়ে কিরামের জীবনী পড়ে দেখুন! হাজারো আউলিয়ায়ে কিরাম এমন রয়েছে, যারা তাওবার পূর্বে গুনাহে আবদ্ধ ছিলো, সমাজে তাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো, মানুষ তাদেরকে ঘৃণা করতো কিন্তু যখনই তাঁরা তাওবা করলো, নেক পথের মুসাফির হলো, ইবাদত ও রিয়াযতে লিপ্ত হলো তখন সেই লোকেরাই যারা পূর্বে ঘৃণা করতো, তাঁদের ব্যবহারকৃত জিনিসের হতে বরকত নিতে লাগলো।
আমাদের এখানকার মানুষ মনে করে * সম্মান টাকা দিয়ে পাওয়া যায় *পদ ও পদবী দ্বারা পাওয়া যায় *স্যুট-বুট দ্বারা সম্মান পাওয়া যায় *বান্দার নিকট দামি গাড়ি থাকে * হাতে দামী মোবাইল থাকে *হাজার টাকার পোশাক পরিধান করে * আলীশান দালানে থাকে তবে সম্মান পাওয়া যায় কিন্তু এমন নয়, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
مَنْ کَانَ یُرِیْدُ الْعِزَّۃَ فَ لِلّٰہِ الْعِزَّۃُ جَمِیْعًاط
(পারা: ২২, সূরা ফাতির, আয়াত ১০) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যে কেউ সম্মান চায়, তবে সম্মান তো সব আল্লাহরই হাতে।
সমস্ত সম্মান আল্লাহ পাকের হাতে, সম্মান ও অপমানের মালিক হলেন আল্লাহ পাক, তাঁর দরজায় আসুন, এখানে মাথা নত করুন, গুনাহ থেকে তাওবা করুন, আপন দয়ালু প্রতিপালকের দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করুন: মাওলা! পালিয়ে থাকা বান্দা হাজির, হে দয়ালু মালিক! কবুল করে নাও, এই গুনাহগার বান্দার প্রতি দয়া করো, বান্দা আপন গুনাহে, অবাধ্যতায় সত্যমনে লজ্জিত হয়ে তাওবা করুক, এটিই হলো সম্মান পাওয়ার সঠিক পথ, এখানে নত হয়ে দেখুন! আল্লাহ পাক দয়া করবেন, اِنْ شَآءَ الله অবশ্যই দান করবেন।