Book Name:Behtareen Khatakar Kon
করে আল্লাহ পাকের দিকে ফিরে আসে, যেমন; ৪র্থ পারা, সূরা আলে ইমরানের ১৩৫ আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ الَّذِیْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَۃً اَوْ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَہُمْ ذَکَرُوا اللّٰہَ فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِہِمْ ۪ وَ مَنْ یَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللّٰہُ ۪ وَ لَمْ یُصِرُّوْا عَلٰی مَا فَعَلُوْا وَ ھُمْ یَعْلَمُوْنَ
(পারা ৪, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৫) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং ঐসব লোক, যখন তারা কোন অশ্লীলতা কিংবা স্বীয় আত্মার প্রতি যুলুম করে তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে স্বীয় গুনাহর ক্ষমা প্রার্থনা করে; এবং আল্লাহ ব্যতীত গুনাহ কে ক্ষমা করবে? আর তারা জেনেশুনে নিজেদের কৃত অপরাধের প্রতি পুনঃপুনঃ অগ্রসর হয় না।
এরাই হলো আল্লাহ পাকের নেককার বান্দা, যখন তাঁদের মানবীয় কারণে কোন গুনাহ সংগঠিত হয়ে যায়, নিজের প্রাণের উপর অত্যাচার করে বসে তখন কি করে: (১) যিকরুল্লাহ করে (২) তাওবা ও ইস্তিগফার করে (৩) আর নিজেদের কর্মের উপর জেনে বুঝে অটল থাকে না।
আর যে বান্দা এই বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, সে কি পায়? আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
اُولٰٓئِکَ
جَزَآؤُھُمْ
مَّغْفِرَۃٌ مِّنْ رَّبِّہِمْ
وَ
جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِہَا الْاَنْہٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْہَا ؕ وَ نِعْمَ
اَجْرُ الْعٰمِلِیْنَ
(পারা: , সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৬) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এমন ব্যক্তিবর্গের প্রতিদান হচ্ছে তাদের রবের ক্ষমা এবং (এমন) জান্নাতসমূহ যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান। (তারা) এগুলোর মধ্যে সর্বদা থাকবে এবং সৎকর্মকারীদের জন্য কতোই উত্তম পুরষ্কার রয়েছে!
سُبْحٰنَ الله! বান্দা তাওবা করলো, নিজের গুনাহের উপর অটল রইলো না বরং লজ্জিত হলো তবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
আল্লাহ পাকের প্রিয় ও সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ، وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ প্রত্যেক মানুষের গুনাহ হয়ে যায় আর সবচেয়ে উত্তম অপরাধী হলো সেই, যে তাওবা করে নেয়।
(ইবনে মাজাহ, কিতাবুয যুহুদ, বাবু যিকরুত তাওবা, ৬৮৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪২৫১)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা মানুষ, নিষ্পাপ নই, নিষ্পাপ তো শুধুমাত্র আম্বিয়া ও ফেরেশতারা, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের গুনাহ হয়েই যায়, আমাদের তাওবার দিকে অগ্রসর হওয়া উচিৎ। ইমাম গাযালি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সৃষ্টি ৩ ধরনের হয়ে থাকে: (১) ফেরেশতা; তাঁরা নিষ্পাপ, তাঁরা গুনাহই করে না (২) শয়তান; তারা গুনাহই করে থাকে, গুনাহ ছাড়েই না (৩) তৃতীয় নাম্বার হলো মানুষ, মানুষের গুনাহও হয়ে যায় এবং তারা তাওবা করে নেকীর দিকেও অগ্রসর হয়।