تَوَجُّہ اِلَی اللہ

Book Name:تَوَجُّہ اِلَی اللہ

১নং আয়াতের পাদটিকা, ১০০১ পৃষ্ঠা) ব্যাপারে ২৮তম পারা, সুরা মুজাদালার প্রথম দিককার আয়াত অবতীর্ণ হলো, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

اَلَّذِیْنَ یُظٰہِرُوْنَ مِنْکُمْ مِّنْ  نِّسَآئِہِمْ مَّا ہُنَّ  اُمَّہٰتِہِمْ ؕ اِنْ  اُمَّہٰتُہُمْ  اِلَّا الِّٰٓیْٔ وَلَدْنَہُمْ ؕ وَ اِنَّہُمْ  لَیَقُوْلُوْنَ مُنْکَرًا مِّنَ الْقَوْلِ  وَ زُوْرًا ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ لَعَفُوٌّ غَفُوْرٌ (۲)

(পারা ২৮, সুরা মুজাদালা, আয়াত: )            কানযুল ঈমান থেকে অনুবা: ওই সব লোক, যারা তোমাদের মধ্যে নিজ স্ত্রীদেরকে নিজ মায়ের স্থলে বলে বসে; তারা তাদের মা নয়। তাদের মায়েরা তো হচ্ছে তারাই, যাদের থেকে তারা জন্মলাভ করেছে। এবং নিঃসন্দেহে, তারা মন্দ ও নিরেট মিথ্যা কথা বলছে। এবং নিশ্চয় আল্লাহ অবশ্য পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।

 

          এর সাথে আরো আয়াত রয়েছে, যা একই ঘটনার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়েছিলো, সারকথা হলো যে, হযরত খাওলাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর দোয়ার বরকতে যিহারের পূর্বের হুকুম রহিত করে দেয়া হলো এবং নতুন হুকুম অবতীর্ণ হলো, অর্থাৎ এখন কিয়ামত পর্যন্ত এই বিধান হয়ে গেলো যে, যিহার তালাক নয়, তবে এটি একটি অত্যন্ত অপছন্দনীয় এবং মিথ্যা বিষয়, এ থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক, যদি কেউ সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে নিজের স্ত্রীর সাথে যিহার করে বসে, যেমন; তাকে নিজের মায়ের মতো বলে দিলো, তবে এর হুকুম হলো যে, সে তার স্ত্রীর নিকট যেতে পারবে না, তার উপর আবশ্যক যে, যিহারের কাফফারায় একটি গোলাম আযাদ করা, যদি তা করা সম্ভবপর না হয়, তবে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখবে, তাও না পারলে, তবে ৬০ জন মিসকিনকে বেলা পেট ভরে খাবার খাওয়াবে (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যাহ, ১৩/২৬৯)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঈমানোদ্দীপক শিক্ষনীয় কুরআনী ঘটনার প্রতি মনোযোগ দিন তো! কল্পনা করুন, হযরত খাওলাহ (رَضِیَ اللهُ عَنْہَا) তখন কত দুঃখ কষ্টে ছিলেন, পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁর বয়সও অনেক হয়ে গিয়েছিলো, সন্তানরা ছোট, এমতাবস্থায় স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের অবস্থা কিরূপ হবে, সেই মুহুর্তে বেদনার কিরূপ সমুদ্র তাঁর অন্তরে উথাল পাতাল করছিলো, এই অবস্থায় যখন তিনি আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করলেন, তখন তাঁর বেদনাদায়ক দীর্ঘশ্বাসের বরকতে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য সহজ করে দেয়া হলো, যেই যিহারের হুকুম ছিলো তালাকের মতো, তাতে সহজতা প্রদান করে দেয়া হলো বুঝা গেল; একটি বেদনাদায়ক দীর্ঘশ্বাস ঐ কাজ করতে পারে, যা অন্য কোনো উপায়ে করা যায় না

 

ইবতিহাল কাকে বলে....?

          আমাদের মাঝে অনেক লোক অভিযোগ করেতে থাকে যে, অনেক দোয়া করেছি কিন্তু কবুল হয়নি প্রথমতঃ মনে রাখবেন যে, প্রতিটি দোয়া কবুলই কবুল হয় তবে এটা জরুরী নয় যে, আমরা যা চাই, তাই আমরা পাবো, অনেক সময় আমাদের দোয়ার বরকতে আমাদের থেকে বিপদাপদ দূর করে দেয়া হয়, অনেক সময় আমরা যা চেয়েছি তার চেয়েও উত্তম কিছু  আমাদের দেয়া হয় এবং কখনো আমাদের সেই দোয়া আখিরাতের জন্য সংরক্ষিত করে নেয়া হয় মোটকথা প্রত্যেক দোয়াই কবুল হয়ে থাকে।