Book Name:Tazkia e Nafs

          !سُبْحَانَ الله প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনুমান করুন! রোযা রাখার কেমন বরকত রয়েছে? মুসলমানদের একটি সংখ্যা রয়েছে যারা রমযানুল মুবারকের রোযা রাখে না, কেউ মৌসুমের বাহানা দিয়ে থাকে যে, অনেক গরম, এজন্য রোযা রাখে না, কারো টাকা ইনকামের চিন্তা, কেউ বলে: হালাল রিযিকও তো ইবাদত, রোযা রাখলে তো কাজ করতে পারবো না, কাজ না করলে সন্তানদের কোথা থেকে খাওয়াবো? ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ অন্তরের শান্তনার জন্য হয়তো এই বাহানা কাজে আসছে কিন্তু কিয়ামতের দিন কি হবে? কিয়ামতের ময়দানে কেমন গরম হবে! সূর্য এক মাইল উপর থেকে অগ্নিবর্ষণ করবে, তামার (Copper) উত্তপ্ত জমিন থাকবে, মস্তিস্ক টকবগ করবে, ঘাম প্রবাহিত হতে থাকবে, কারো হাঁটু পর্যন্ত ঘাম থাকবে, কারো পিঠ পর্যন্ত ঘাম হবে, কেউ বুক পর্যন্ত নিজের ঘামের মধ্যেই ডুবে থাকবে আবার কেউ তো নিজের ঘামের মধ্যেই সাঁতার কাটবে, এই কঠিন গরমের মধ্যে রোযাদারগণ اِنْ شَآءَ اللهُ الْکَرِیْم! আনন্দের মধ্যে থাকবে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

(২) নফস হত্যার ফযিলত

          হে আশিকানে রাসূল! আমরা হযরত মালিক বিন দীনার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ঘটনা শ্রবণ করেছি, একটু ভাবুন! আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام আল্লাহ পাকের নেককার বান্দারা নফসকে কিভাবে শাসন করতেন, হযরত মালিক বিন দীনার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নফসের চাহিদাগুলো দমন করার জন্য ৪০ বছর পর্যন্ত খেজুর খাননি, অতঃপর ৪০ বছর পর খেজুর খাওয়ারও ইচ্ছা করলেন তো নফসের কাছ থেকে বিনিময় উসুল করতে গিয়ে প্রথমে এক সপ্তাহ নফল রোযা রাখলেন।

          !سُبْحَانَ الله মালিক বিন দীনার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নফসকে দমন করার কথা কি আর বলবো! তিনি অনেক বছর ধরে কোন মজাদার জিনিস খাননি। সাধারণত দিনে রোযা রেখে শুকনো রুটি দিয়ে ইফতার করতেন। একবার নফসের চাহিদা অনুযায়ী মাংস ক্রয় করলেন এবং রওনা করলেন, পথিমধ্যে সুঘ্রাণ নিলেন আর বললেন: হে নফস! মাংসের সুঘ্রাণ নেয়ার মধ্যেও মজা আছে! ব্যস এরচেয়ে বেশি এতে তোমার অংশ নেই। এটা বলে সেই মাংস এক ফকিরকে দিয়ে দিলেন। এরপর বললেন: হে নফস! আমি কোন শত্রুতার কারণে তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি না আমিতো শুধুমাত্র এজন্য তোমাকে ধৈর্যধারণে অভ্যস্ত করছি যেনো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির অমূল্য রত্ন নসিব হয়ে যায়। (তাযকিরাতুল আউলিয়া, ৩৩ পৃষ্ঠা)

 

আত্মশুদ্ধির ফযিলত

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আত্মশুদ্ধি অর্থাৎ নফসের সংশোধন, সেটাকে মন্দ আকিদা থেকে বাঁচিয়ে ভালো ও সঠিক ইসলামী আকিদার অনুসারী করা, মন্দ অভ্যাসগুলো দূও করে ভালো স্বভাবের অভ্যস্ত করা, গুনাহ থেকে বিরত থেকে ইবাদতে লিপ্ত হওয়া, অভ্যন্তরীণ রোগসমূহ যেমন; লৌকিকতা, আত্মগৌরব, হিংসা, অহংকার, দুনিয়ার ভালোবাসা, লোভ ও কৃপণতা ইত্যাদি থেকে নফসকে পবিত্র করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কুরআনে করীমে রয়েছে:

جَنّٰتُ عَدْنٍ  تَجْرِیْ مِنْ  تَحْتِہَا  الْاَنْہٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْہَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا  مَنْ  تَزَکّٰی