Book Name:Tazkia e Nafs

قَدْ  اَفْلَحَ  مَنْ  زَکّٰىہَا ۪ۙ(۹)
وَ  قَدْ خَابَ مَنْ  دَسّٰىہَا (۱۰)

(পারা: ৩০, সূরা শামস, আয়াত: ৯-১০)          কানযুল ঈমানের অনুবাদ: নিশ্চয় লক্ষ্যস্থলে পৌঁছেছে, যে তাকে পবিত্রও করেছে। আর নিরাশ হয়েছে যে তাকে পাপের মধ্যে আচ্ছন্ন করেছে।

 

          বুঝা গেলো; * সফলতার মাপকাঠি সম্মান ও প্রসিদ্ধি নয় * সফলতার মাপকাটি মাল ও দৌলত, আরাম ও আয়েশ, বড় পদবী নয় বরং সফলতার মাপকাঠি হলো আত্মশুদ্ধি...!! সফল হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের নফসের সংশোধন করেছে, নিজের হৃদয়কে মন্দ আকিদা, মন্দ চরিত্র, মন্দ স্বভাব ও অভ্যন্তরীণ ব্যাধিসমূহ থেকে পবিত্র করে নিয়েছে এবং যে ব্যক্তি নফসকে পবিত্র করেনি, সে দুনিয়াবি দিক দিয়ে যতই উচ্চ পদে পৌঁছে যাক না কেনো, সে সফল নয়, সত্যিকারার্থে সে ব্যর্থ।

 

বাদশাহ নাকি গোলামদের গোলাম

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বিষয় অনেক সহজ ও বুঝে আসার মতো, যে গোলামীর শিকলে আবদ্ধ থাকে, সে যতই টাকা ইনকাম করুক না কেনো, যতই উচ্চ পদে আসীন হোক না কেনো, যেহেতু সে গোলাম তাই প্রকৃতপক্ষে তাকে সফল বলা যেতে পারে না। সফলতা শুরুই হয়ে থাকে স্বাধীনতা থেকে। এখন চিন্তা করে দেখুন! নফসের গোলামীর চেয়ে নিকৃষ্ট গোলামী আর কি হতে পারে। এক নেককার বুযুর্গ ছিলো, কোন বাদশাহ তাঁকে বললেন: বাবাজান! চান! কি চাওয়ার আছে? নেক বুযুর্গ খুবই স্বাভাবিকভাবে বললেন: আমি আমার গোলামদের গোলামের কাছ থেকে কিছু চাইনা। বাদশাহ খুবই আশ্চর্য হলো, অবাক হয়ে বললো: আমি আর গোলাম...!! আমি তো বাদশাহ। নেক বুযুর্গ বললেন: তুমি লোভ ও লালসার গোলাম, আর এই দুইটি অভ্যাস আমার গোলাম, সুতরাং তুমি আমার গোলামদের গোলাম।

 

          প্রকৃত ও সবচেয়ে নিকৃষ্ট গোলামী হলো এটাই যে, লোক নিজের নফসের গোলাম হয়ে যায়, সুতরাং কেউ পুরো দুনিয়া জয় করুক না কেনো, যদি সে নিজের নফসকে পরাজয় না করে, লোভ ও লালসার উপর কর্তৃত্ব করতে না পারে, নিজের মধ্যে হিংসা, অহংকার ও আত্মগৌরবের মতো সাপ বিচ্ছুকে যদি না মারে, সে সফল নয়, সত্যিকারার্থে গোলাম।

 

          আল্লাহ পাক আমাদেরকে নফসের গোলামী থেকে মুক্তি নসিব করুক, হায়! আমরা নফস ও শয়তান থেকে বেঁচে শুধুমাত্র আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করতাম। اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

নফসের সংশোধন কিভাবে করবেন?

          হে আশিকানে রাসূল! নফসের সংশোধন অর্থাৎ (নফসে আম্মারার সংশোধন) করা খুবইজরূরী, নতুবা এই যালিম নফস আমাদেরকে এই দুনিয়ার নশ্বর আনন্দের মধ্যে ফাঁসিয়ে,