Book Name:Tazkia e Nafs

সম্মিলিত ইতিকাফের প্রতি উৎসাহ প্রদান

          হে আশিকানে রাসূল! ইতিকাফ একটি প্রাচীন ইবাদত, পূর্বেকার উম্মতের মধ্যেও ইতিকাফের মতো ইবাদত বিদ্যমান ছিলো। اَلْحَمْدُ لِلّٰه দাওয়াতে ইসলামীর ব্যবস্থাপনায়ও সম্মিলিত ইতিকাফ হয়ে থাকে, আপনাদের প্রতি আবেদন হলো আপনারাও পুরো মাসব্যাপী অথবা কমপক্ষে শেষ দশদিনের সম্মিলিত ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন! اِنْ شَآءَ الله মাহে রমযানুল মুবারকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার, নেকী করার, নফল ইবাদতের স্পৃহা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে অনেক ইলমে দ্বীন শেখার সুযোগ মিলবে।

 

নফসের সংশোধনের ৩টি পদ্ধতি

          হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নফসের সংশোধন অর্থাৎ নফসে আম্মারার মনোবল ভাঙ্গার জন্য, সেটাকে সংশোধনেরজন্য ৩টি পদ্ধতি বলে দিয়েছেন। যদি আমরা রমযানুল মুবারকে নফসের সংশোধনের এই ৩টি পদ্ধতি নিজেদের উপর বাস্তবায়ন করি তো اِنْ شَآءَ الله নফসে আম্মারা সংশোধন হয়ে যাবে এবং আল্লাহ পাক চান তো অভ্যন্তরীণ পবিত্রতাও নসিব হবে।

 

          ইমাম গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমাদের ওলামায়ে কেরাম رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام বলেন: ৩টি বিষয়ের সাহায্যে নফসে আম্মারার মনোবল ভাঙ্গা সম্ভব: (১) কামনা বাসনা থেকে বিরত থাকা (২) নফসের উপর ইবাদতের বোঝা আরোপ করা (৩) আল্লাহ পাকের নিকট সাহায্য চাওয়া।

(মিনহাজুল আবেদীন, ১৪৩ পৃষ্ঠা)

 

(১) কামনা বাসনা থেকে বিরত থাকা

          নফসের বড় অনিষ্টতা হলো, সে আকাঙ্খা লালন করে, যদি আমরা নফসের আকাঙ্খা পূরণ করা বন্ধ করে দিই তবে সেটার মনোবল ভেঙ্গে যাবে।

 

নফসের বিরোধিতা কোন কার্যাদির মধ্যে করবেন!

          হুযুর গাউসে আযম শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যদি সফলতা চাও তবে স্বীয় প্রতিপালকের আনুগত্যের মধ্যে নফসের বিরোধিতা করো! যদি নফস আল্লাহ পাকের আনুগত্য (অর্থাৎ নেক আমল) এর ইচ্ছা করে তাহলে এমন আকাঙ্খা পূরণ করো আর যদি আল্লাহ পাকের নাফরমানীর ইচ্ছা করে তাহলে সেটা থেকে বিরত থাকো...!!

(আল ফাতহুর রাব্বানী, ১৬০ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

(২) নফসের উপর ইবাদতের বোঝা আরোপ করা!

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নফসের সংশোধনের দ্বিতীয় যেই বিষয়টি অতীব জরুরী, সেটি হলো নফসের উপর ইবাদতের বোঝা আরোপ করা নফস স্বভাবত উদাসীনতা ও স্বাদ পছন্দ করে থাকে, সে ইবাদতের প্রতি ধাবিত হবে না, অবশ্য আমাদের উচিত যে, নফসের বিরোধিতা করে ইবাদতের মধ্যে মশগুল হয়ে যাওয়া * পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাত সহকারে আদায় করা *