Book Name:Shair e Khuda Ka Zuhad

হযরত মওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! اِنْ شَآءَ الله আমি সেই লোকদের ও তারা যা বেছে নিয়েছে তা পরিহার করব। আমি আল্লাহ পাক, তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং আখেরাতকে বেছে নেব। (মৃত্যুর আগ পর্যন্ত) দুনিয়ার কষ্ট ও দুর্যোগে ধৈর্য ধারণ করবো। এমনকি আমি আপনার সাথে সাক্ষাৎ করবো। একথা শুনে প্রি নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: তুমি সত্য বলেছ। হে আল্লাহ পাক, আলীকে অনুরূপ করার তৌফিক দান করুন।

(কানযুল উম্মাল, অংশ: ১১, ৬/১২৫, হাদিস: ৩১৫১৬)

 

          আসুন আমরা সমাজে একটু পর্যবেক্ষণ করে দেখি যে, পবিত্র হাদিসে যা বর্ণিত হয়েছে তা কি আজ সমাজের স্বচ্ছ আয়নায় দৃশ্যত হচ্ছে কি না। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: মানুষ পরকালের প্রতি নাসক্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে মানুষ আখেরাতের চিন্তা থেকে অনেক দূরে, বহু সংখ্যক মানুষ কবর ও আখেরাতের স্মরণ থেকে উদাসীন।  প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: মানুষ দুনিয়াকে  ভালবাসবে। আজ পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষই দুনিয়ার প্রেমে অন্ধ হয়ে গেছে। * প্রিয় নবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: মানুষ উত্তরাধিকারের সম্পদ আত্মসাৎ করবে। আজ উত্তরাধিকারীদের সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হচ্ছে, অন্যের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। উত্তরাধিকার সূত্রে যাদের অধিকার রয়েছে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: মানুষ সম্পদতে সর্বাধিক প্রাধান্য দিবে। আজ ধন-সম্পদের মোহে মানুষ অন্ধ হয়ে গেছে। সম্পদের লালসায় চুরি, ডাকাতি, পরিমাপে কম দেয়া, খাদ্য গুদামজাত করা, সুদী লেনদেন করা, হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করা, মোটকথা: সম্পদের ভালবাসায় মানুষ পাপের সাম্রাজ্য কায়েম করছে। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: মানুষ ধর্মকে বিকৃত করবে, তারা পদ ও  ক্ষমতার প্রতি ঝুঁকে পড়বে। আমরা এরও ব্যত্যয় দেখছি না। সমাজে অনুরূপই ঘটছে। 

          সুতরাং এখন আমাদের ভাবা উচিত: আজ যদি আমাদের আক্বা, মাওলা আলী শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থাকতেন, তাহলে তিনি কী করতেন? মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যে ৫ টি জিনিসের কথা উল্লেখ করেছেন, এগুলো হলে তিনি কী করতেন? তিনি যদি থাকতেন তবে এই ৫টি কাজ করতেন: (১) তিনি বলেছেন: আমি সেসব লোক (যারা আখিরাতকে ভুলে যাবে, দুনিয়াকে ভালোবাসবে এবং ধর্মের মধ্যে বিকৃতি ঘটাবে) পরিহার করবো। সুতরাং আমাদেরও উচিত এ ধরনের লোকদের সঙ্গ পরিহার করা। পরকালের চিন্তায় বিভোর ও নবী প্রেমিকদের সঙ্গ অবলম্বন করা।
(২) মাওলা আলী
رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেছেন: তখন লোকেরা যা গ্রহণ করবে (অর্থাৎ দুনিয়ার প্রতি আসক্ত, আখিরাতের প্রতি উদাসীনতা, সম্পদের মোহ, পদ ও ক্ষমতার প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি) আমি সবই ত্যাগ করব। সুতরাং আমাদেরও উচিত আমরা যেন এসব বিষয় থেকে দূরে থাকি। ধন-সম্পদের মোহ, দুনিয়ার মোহ, পরকালের প্রতি উদাসীনতা, পদ-পদবীর লোভ থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখি, কবর ও পরকালের জন্য প্রস্তুতি নেই। জান্নাতে নিয়ে যায় এমন আমল করি