Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

Book Name:Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

থাকবে, * যে ব্যক্তি গুনাহ থেকে তাওবা করার চেষ্টা করবে, তার একনিষ্ঠতার দৌলত নসীব হবে, * যে ইলম অর্জনের চেষ্টা করবে, তার আমলের ময়দানে সফলতা নসীব হবে, * যে সুন্নাতের প্রসারের চেষ্টা করবে, তবে জান্নাতের মতো নেয়ামতের অধিকারী হবে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনে দুনিয়াও সজ্জিত হয়ে যায় এবং আখিরাতও ঝলমল হয়ে উঠে। মনে রাখবেন! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড়, মানুষের চেষ্টার পর সফলতা প্রদানকারী দয়ালূ রব তাঁর পবিত্র কালামে ইরশাদ করেন:

وَ رِضۡوَانٌ مِّنَ اللّٰہِ اَکۡبَرُ ؕ

(পারা ১০, সূরা তাওবা, আয়াত ৭২)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি সর্বশ্রেষ্ঠ।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত

          হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির ন্যায় সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করে সেই অনুযায়ী আল্লাহ পাকের ইবাদত করা উচিৎ। কেননা ইবাদত কবুলের জন্য আবশ্যক যে, তা এমন পদ্ধতিতে করা, যেমনটি শরীয়ত আদেশ দিয়েছে। মনে রাখবেন! * জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ পাকের ইবাদত করা হলো শয়তানের ফাঁদ থেকে বের হওয়ার উপায়। * আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। * গুনাহের রোগ থেকে আরোগ্য লাভের ঔষধ। * জাহেরী ও বাতেনী সংশোধনের উপায়। * রূহের সতেজতার মাধ্যম। * জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ পাকের ইবাদত করা ঐ মাধ্যম, যা মানুষকে আল্লাহ পাকের নিকটতম করে দেয়। এই কারণেই আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনরা رَحِمَہُمُ اللهُ المُبِيْن সর্বদা ইলম ও শরীয়তের বিধান অনুযায়ী আল্লাহ পাকের ইবাদতে লিপ্ত থাকা এবং ফরয ও ওয়াজিব আদায় করার পাশাপাশি নফলের আধিক্য করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্ট অর্জন করার চেষ্টায় মগ্ন থাকতেন। আসুন! বুযুর্গানে দ্বীনদের رَحِمَہُمُ اللهُ المُبِيْن ইবাদতের ঘটনাবলী শ্রবণ করি:

 

গাউছে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ইবাদত

          মানব ও জ্বিনদের গাউছ, হুযুর শেখ সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৪০ বছর পর্যন্ত ইশার অযু দ্বারা ফজরের নামায আদায় করতে থাকেন, ১৫ বছর পর্যন্ত সারারাতে একবার কোরআনে পাক খতম করতে থাকেন। (বাহজাতুল আসরার, ১১৮ পৃষ্ঠা) প্রতিদিন একহাজার (১০০০) রাকাত নফল নামায আদায় করতেন।  (তাফরীহুল খাতির, ৩৬ পৃষ্ঠা)