Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

Book Name:Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

সাগরে ডুবে আছি এবং গুনাহের ময়দানে চলছি। ইয়া ইলাহী! তোমার এই নিকৃষ্ট, গুনাহগার এবং অসুস্থ বান্দা তোমার দয়াময় দরজায় উপস্থিত আর তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছে। (আর রওযুল ফায়েক, ২৪৬ পৃষ্ঠা)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনরা رَحِمَہُمُ اللهُ المُبِيْن আল্লাহ পাকের ইবাদতের কিরূপ প্রেরণা ও আগ্রহ রাখতেন এবং অধিকহারে ইবাদত করার পরও আল্লাহ পাকের দরবারে বিনয় ও নম্রতা প্রদর্শন করে তা কবুলের দোয়া করতেন।
* আমাদেরও অধিকহারে আল্লাহ পাকের ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা উচিৎ। * আমাদেরও আল্লাহ পাকের ইবাদত করে কবরকে আলোকিত করার উপলক্ষ্য বানানো উচিৎ। * হাশরের গরম থেকে মুক্তির উপলক্ষ্য করা উচিৎ। * মিযানে নেকীর পাল্লাকে ভারী করার কিছু উপলক্ষ্য করা উচিৎ। * পুলসিরাত অতিক্রম করার উপলক্ষ্য করা উচিৎ। * আমাদেরও আল্লাহ পাকের ইবাদত করে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা অর্জন করার উপলক্ষ্য করা উচিৎ।

          মনে রাখবেন! আল্লাহ পাক আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন, এই উদ্দেশ্যে সফল হওয়ার জন্য মানুষকে দুনিয়ায় খুবই অল্প সময়ের জন্য পাঠানো হয়েছে, আমাদের এই সময়েই কবর ও হাশরের ধাপগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, সুতরাং বুদ্ধিমান লোক সেই, যে এই স্বল্প সময়কে গনিমত মনে করে কবর ও হাশরের প্রস্তুতিতে লিপ্ত হয়ে যায় এবং মূহুর্ত পরিমাণও নিজের সময়কে অহেতুক কাজে নষ্ট করে না, কেননা কেউ জানে না যে, পরবর্তী মূহুর্তে সে জীবিত থাকবে নাকি মৃত্যু তাকে সর্বদার জন্য গভীর ঘুম পাড়িয়ে দিবে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা পেতে অসংখ্য নেককাজ দৃঢ়তার সাথে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা খুবই জরুরী। প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও আমলের পাশাপাশি হকসমূহ আদায়েরও খুবই গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের ভাল আচরণের সবচেয়ে বেশি হকদার হলো আমাদের পিতামাতা, পিতামাতার আনুগত্যের চেষ্টা করাও দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার মাধ্যম হতে পারে। নিশ্চয় পিতামাতা আল্লাহ পাকের অনেক বড় নেয়ামত, তাঁদের আনুগত্য করা, তাঁদের প্রয়োজনাদী পূর্ণ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকা এমন নেকী, যা মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল করে দিতে পারে। ইতিহাস সাক্ষী, যারা আপন পিতামাতার আনুগত্যে সচেষ্ট ছিলো, আল্লাহ পাক তাঁদেরকে এমন মর্যাদা দান করেছেন যে, কেউ তাবেঈনদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন, কেউ সকল আউলিয়ায়ে কিরামের رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام সর্দার হয়ে গেলেন, কেউ নিজস্ব যুগের মুজাদ্দিদের মর্যাদা লাভ করেন আর কেউ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির সুসংবাদ লাভ করেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের অন্তরে তাঁদের ভালবাসা অটুট থাকবে। আসুন! পিতামাতার আনুগত্যে সচেষ্ট বুযুর্গানে দ্বীনদের رَحِمَہُمُ اللهُ المُبِيْن দু’টি ঘটনা শ্রবণ করি।