Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

Book Name:Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

(১) মায়ের সেবা এবং বিলায়তের মর্যাদা

          হযরত সায়্যিদুনা বায়েজিদ বোস্তামী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: তীব্র শীতের এক রাতে আমার মা আমার নিকট পানি চাইলেন, আমি গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে আসলাম কিন্তু তখন মায়ের ঘুম এসে গিয়েছিলো, আমি ঘুম থেকে জাগানো উচিৎ মনে করলাম না, পানির গ্লাস হাতে নিয়ে এ অপেক্ষায় মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে ছিলাম যে, তিনি জাগ্রত হলেই পানি প্রদান করবো। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলো এবং গ্লাস থেকে গড়িয়ে কিছু পানি আমার আঙ্গুলে জমে গিয়ে বরফ হয়ে গিয়েছিলো। যাহোক যখন আম্মাজান জাগ্রত হলেন আমি পানির গ্লাস উপস্থাপন করলাম, বরফের কারণে লেগে থাকা আঙ্গুল হতে গ্লাস যখনই পৃথক হলো চামড়া উঠে গেলো এবং “রক্ত” প্রবাহিত হতে লাগলো, আম্মাজান দেখে বললেন: “এটা কিভাবে হলো?” আমি পুরো ঘটনা বর্ণনা করলাম, তখন তিনি হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন: হে আল্লাহ! আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট তুমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট থেকো।

(সামুদ্রীক গম্বুজ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)

 

(২) ডাকাতরা তাওবা করে নিলো

          হুযুর গাউছে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ইলমে দ্বীন অর্র্জনের জন্য কাফেলার সাথে জিলান থেকে বাগদাদের দিকে রওয়ানা হলেন, যখন হামদান ছেড়ে সামনে অগ্রসর হলেন তখন ষাট (৬০) জন ডাকাত কাফেলার উপর ঝাঁপিয়ে পরলো এবং সম্পূর্ণ কাফেলাকে লুন্ঠন করে নিলো। হুযুর গাউছে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: কেউ আমার থেকে কিছু জিজ্ঞাসা করলো না, একজন ডাকাত আমার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো: হে ছেলে! তোমার নিকট কিছু আছে কি? আমি উত্তরে বললাম: হ্যাঁ। ডাকাতটি বলতে লাগলো: কি আছে? আমি বললাম: চল্লিশটি দীনার। সে জিজ্ঞাসা করলো: কোথায়? আমি বললাম: বগলের নীচে। ডাকাতটি ঠাট্টা মনে করে চলে গেলো। এরপর আরেকটি ডাকাত এলো এবং সেও এভাবে প্রশ্ন করলো, আমি তাকেও একই উত্তর দিলাম এবং সেও একইভাবে ঠাট্টা মনে করে চলে গেলো। যখন সকল ডাকাত সর্দারের নিকট একত্র হলো তখন তারা তাদের সর্দারকে আমার সম্পর্কে বললো, তখন আমাকে সেখানে ডাকা হলো, তারা লুন্ঠিত মাল বন্টনে ব্যস্ত ছিলো। ডাকাত সর্দার আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো: তোমার নিকট কি আছে? আমি বললাম: চল্লিশ দীনার আছে। ডাকাত সর্দার ডাকাতদের আদেশ দিয়ে বললো: একে চেক করো। চেক করাতে যখন সত্য প্রকাশ হলো তখন সে আশ্চার্য হয়ে প্রশ্ন করলো: তোমাকে সত্য কথা বলতে কোন বিষয়টি উদ্ভুদ্ধ করলো? আমি বললাম: আমার আম্মাজানের رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا উপদেশ। সর্দার বললো: সেই উপদেশ কি ছিলো? আমি বললাম: আমার সম্মানিতা আম্মাজান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا আমাকে সর্বদা সত্য কথা বলার আদেশও দিয়েছেন এবং আমি তাঁর সাথে ওয়াদা করেছি যে, সত্য কথা বলবো। একথা শুনে ডাকাত সর্দার বলতে লাগলো: ছেলেটি তাঁর মায়ের সাথে করা ওয়াদার বিরুদ্ধ করলো না আর আমি সারা জীবন আপন দয়ালু রবের সাথে করা ওয়াদার বিরুদ্ধে অতিবাহিত করেছি। তখনই সেই সর্দার তার সাথীদের নিয়ে তাওবা করলো এবং কাফেলার লুন্ঠিত মাল ফিরিয়ে দিলো। (বাহজাতুল আসরার, ১৬৮ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد