Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

Book Name:Koshish Kamyabi Ki Kunji Hai

কম্পন শুরু হয়ে গেলো এবং খালি পায়েই রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দীদারের জন্য দৌঁড়ে গেলো এমনকি শহরের বাইরে একটি স্থানে পৌঁছে গেলো, যেখানে নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم একটি ঘন গাছের ছায়ায় উপবিষ্ট রয়েছেন। হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত সাআদুদ্দীন তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে দেখে মুচকি হেসে ইরশাদ করলেন: আমি বারবার ডাকার পরও আপনি এলেন না? তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ খুবই বিনয়ী স্বরে আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি জানতাম না যে, আপনি আমাকে ডাকছেন এবং আপনি তো আমার কম মেধা ও মুখস্তশক্তি সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত আছেন, আমি আপনার দরবারে আমার এই রোগ থেকে আরোগ্য প্রত্যাশী।” হযরত সাআদুদ্দীন তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ফরিয়াদ শুনে দয়ার সাগরে জোয়ার এসে গেলো, নবীয়ে রহমত صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: তোমার মুখ খোল।” তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মুখ খুললে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপন থুথু মুবারক তাঁর মুখে ঢেলে দিলেন, তাঁর জন্য দোয়া করলেন এবং সফলতার সুসংবাদ প্রদান করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ইরশাদ করলেন। পরদিন যখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কাজী আবদুর রহমান সিরাজীর দরসে উপস্থিত হলেন তখন পাঠদান কালে তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ওস্তাদ সাহেবের দরসে কিছু জ্ঞানগর্ব প্রশ্ন করলেন, দরসে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের মর্ম বুঝতে পারলো না এবং অহেতুক ও অর্থহীন মনে করে তাঁর কথাকে অগ্রাহ্য করতে লাগলো, কিন্তু তাঁর ওস্তাদ কাজী সাহেব যিনি জ্ঞানের ময়দানে অশ্বারোহী ছিলেন, তাঁর জ্ঞানগর্ব কথা শুনে কেঁদে দিলেন এবং তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন: হে সাআদুদ্দীন! আজ তুমি তা নও, যা তুমি কাল ছিলে।” অতঃপর হযরত সাআদুদ্দীন তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ পুরো ঘটনা ওস্তাদ সাহেবের নিকট বর্ণনা করলেন। (শযরাতুয যাহাব, ৭/৬৮)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          হে আশিকানে রাসূল! বর্ণিত ঘটনায় যেমনিভাবে প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হযরত আল্লামা সাআদুদ্দীন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর প্রতি অনুগ্রহ, দয়া এবং চাহিদা পূরণ করা সম্পর্কে জানা গেলো, তেমনিভাবে এর থেকে আরো অনেকগুলো সুক্ষ্ণ বিষয় অর্জিত হলো, যেমন; ইলমে দ্বীন অর্জন করার জন্য অধ্যবসায়ের চেষ্টা সর্বদা সফল হয়, যেমনটি হযরত আল্লামা সাআদুদ্দীন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর চেষ্টা এবং অধ্যবসায় তাঁকে সফল করে দিলো। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর যুগের অনেক বড় আলিমে দ্বীন হন এবং তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অনেক কিতাবও লিপিবদ্ধ করেছেন।

          মনে রাখবেন! ইলমে দ্বীন অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা এমন একটি নেকী, যা মানুষকে সফলতার সিঁড়ি অতিক্রম করতে সাহায্য করে থাকে, জ্ঞানের মাঠে সফলতার পাশাপাশি দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতার উপলক্ষ্য হয়, কেননা * জ্ঞানও মানুষকে হালাল ও হারামের পরিচয়