Book Name:Surah e Zilzal

فَاِذَا  فَرَغْتَ فَانْصَبْ ۙ(۷)

(পারা: ৩০, সূরা আলাম নাশরাহ, আয়াত: ৭)         কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অতএব, যখন আপনি নামায থেকে অবসর হবেন তখন দোয়ার মধ্যে পরিশ্রম করুন।

 

          অর্থাৎ নিজের অবসর সময়কে ইবাদতের মধ্যে ব্যয় করা মানে যখন একটি ইবাদত থেকে অবসর হবে, দ্বিতীয় ইবাদত করো আর কোন সময় যেনো ইবাদত থেকে খালি না থাকে কেননা পৃথিবী সৃষ্টির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো এটাই।

(আনওয়ারে জামালে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم, পৃ: ৩২৩ সামান্য পরিবর্তন সহকারে)

 

কালকের জন্য অপেক্ষা করবেন না...!

          আরেকটি বিপদ আমাদের মধ্যে বেশি রয়েছে তা হলো: কাল করবো। অনেক লোক নফস ও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে নিজে নিজেকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে দেয়, যেমন আমি কাল থেকে নেকী করা শুরু করবো, এই জুমা থেকে ভালো হয়ে যাবো। রমযানুল মুবারক থেকে নামায পড়া শুরু করবো। কাল তাওবা করে নিবো ইত্যাদি। এটা শুধুমাত্র নফস ও শয়তানের ফাঁদ। একটু চিন্তা করে দেখুন! কাল আসা পর্যন্ত বা রমযানুল মুবারক আসা পর্যন্ত যেই সময়, এই সময়টাও তো আমাদের জীবনের অংশ, কিয়ামতের দিন যদি সেগুলোর হিসাব নেয়া হয় তবে আমাদের কী অবস্থা হবে...?

 

আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার ভয়

          হায়! আমাদের হৃদয়ে যদি আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার চিন্তাধারা গেঁথে যেতো, হায়! আমরা যদি সব সময় আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার চিন্তা রেখে জীবন অতিবাহিতকারী হয়ে যেতাম। মনে রাখবেন! কিয়ামতের পরিক্ষা অনেক কঠিন, যদি কিয়ামতের দিন আমাদের কাছ থেকে হিসাব নেয়া হয় তবে তিরস্কার করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। হযরত মানসুর মাগরিবি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একজন নেককার লোকের ইন্তেকাল হলো, আমি তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম: আল্লাহ পাক আপনার সাথে কিরুপ আচরণ করেছেন? বলতে লাগলো: আল্লাহ পাক আমাকে তাঁর দরবারে দাঁড় করালেন, আমি যেই গুনাহের স্বীকারোক্তি দিয়েছি, আল্লাহ পাক সেই গুনাহগুলো ক্ষমা করতে থাকলেন কিন্তু আমি লজ্জার কারণে একটি গুনাহের স্বীকারোক্তি দিলাম না, এক্ষেত্রে আল্লাহ পাকের দরবারে আমি এতই লজ্জ্বিত হলাম যে আমি ঘামের মধ্যে গোসল করে ফেললাম আর আমার চেহারার মাংস খসে পড়ে গেলো। (ইহয়াউল উলুম, খন্ড: ৫, পৃ: ৬৫৪)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

নেক আমল নম্বর ৪২ এর প্রতি উৎসাহ

          হে আশিকানে রাসূল! নেককার, আদর্শবান ও চরিত্রবান মুসলমান হতে, সুন্নাতের উপর আমল করার উৎসাহ পেতে এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসারের কাজে অংশগ্রহন করার জন্য আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান,