Book Name:Surah e Zilzal

সূরা যিলযালের আয়াত নং: ৬ এর ব্যাখ্যা

          সূরা যিলযাল, আয়াত: ৬ এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

یَوْمَئِذٍ یَّصْدُرُ  النَّاسُ اَشْتَاتًا ۬ۙ لِّیُرَوْا اَعْمَالَہُمْ ؕ(۶)   কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ঐদিন মানুষ স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে বিভিন্ন রাস্তা ধরে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্মসমূহ দেখানো হয়।

 

          এই আয়াতের একটি অর্থ হলো এটি যে কিয়ামতের দিন যখন কবরসমূহ থেকে উঠানো হবে তখন লোকেরা হাশরের ময়দানে দিকে যাবে আর বিভিন্ন অবস্থায় থাকবে, কারো চেহারা সাদা হবে, কারো চেহারা কালো হবে, কেউ আরোহন অবস্থায় থাকবে আর কেউ শিকল ও রশি বাঁধা অবস্থায় হাঁটবে, কেউ নিরাপদ অবস্থায় থাকবে আর কেউ আতঙ্কের মধ্যে থাকবে। আর এসব লোক হাশরের ময়দানের দিকে যাবে? যাতে তাদেরকে তাদের আমল দেখানো হয়।

(তাফসীরে সিরাতুল জিনান, পারা: ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াতের পাদটিকা: ৬, খন্ড: ১০, পৃ: ৭৯২)

 

 

সূরা যিলযালের আয়াত: ৭-৮ এর ব্যাখ্যা

          সূরা যিলযালের শেষ আয়াতের মধ্যে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ  ذَرَّۃٍ  شَرًّا یَّرَہٗ (۸) فَمَنْ یَّعْمَلْ  مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ خَیْرًا یَّرَہٗ ؕ(۷)         কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং যে অণু পরিমাণ সৎকাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, তাও দেখতে পাবে।

 

          এটা হলো আমাদের দায়িত্বের বর্ণনা...! যদি আমরা আধা মিনিটও নেকী করি তবে তা সংরক্ষণ করে রাখা হবে, এইভাবে যদি কেউ সামান্য কয়েক সেকেন্ডও গুনাহ করে তবে সেটাও সংরক্ষণ করে রাখা হবে  এবং কিয়ামতের দিন তার সামনে রাখা হবে। সুতরাং আমাদের উপর আবশ্যক হলো আমরা যেনো আমাদের এই সংক্ষিপ্ত জীবনের একটি মূহুর্ত দায়িত্ববোধ সহকারে অতিবাহিত করি কেননা কিয়ামতের দিন আমাদের সামনে ছোট থেকে ছোট আমলগুলোও উপস্থাপন করা হবে।

 

সময় নষ্ট করা মুসলমানের কাজ নয়!

          আমার হাতে অনেক কাজ ব্যাস এমনিতেই (অযথা) করে থাকি, বাজারে কেনো গিয়েছিলেন? এমনিই। খেলা কেনো খেলছেন? এমনিই। মোবাইলে কি করছেন? কিছু না ব্যস এমনিই। অমুক কাজটি কেনো করেছেন? এমনিই। বন্ধুদের সাথে কি করছিলেন? কিছু না ব্যাস এমনিই, সময় কাটানো। এই যে (অযথা)”, মনে রাখবেন! এটা একজন মুসলমানের মুখে মানায় না, মুসলমান  কিয়ামতের উপর বিশ্বাস রাখে, আমাদের আকিদা হলো কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হতে হবে, আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, অতঃপর এটা কিভাবে হতে পারে যে আমরা কোন কাজ না জেনে না বুঝে ব্যস এমনিইকরবো...?

          হযরত শুরাইহ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ২জন ব্যক্তিকে অহেতুক কাজ করতে দেখে বললেন: اَلْفَارِغُ مَااُمِرَ بِہَذٰا অবসর ব্যক্তিকে এই কাজের নির্দেশ দেয়া হয়নি, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: