Book Name:Surah e Zilzal

وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বললেন: তাকে ছেড়ে দাও! তার فَقَاهَت (অর্থাৎ দ্বীনের শিক্ষা) অর্জন হয়ে গেছে। (তাফসীরে দুররে মনসুর, পারা: ৩০, সূরা যিলযাল, খন্ড: ৮, পৃষ্ঠা: ৫৯৬)

 

          হে আশিকানে রাসূল! প্রতীয়মান হলো কুরআনে কারীমের এই ৩৫ শব্দ সম্বলিত (অর্থাৎ সম্পূর্ণ সূরা যিলযাল) যদি তাকে বুঝিয়ে মস্তিষ্কে বসিয়ে দেয়া হয় আর বান্দা সেই অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করে তো! اِنْ شَآءَ الله পুরো জীবন সফলভাবে অতিবাহিত করবে।

 

 

 

 

সূরা যিলযালের মূল বিষয়বস্তু

          মৌলিকভাবে সূরা যিলযালের মধ্যে মানুষের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে অর্থাৎ এটা বলা হয়েছে যে, মানুষ এই দুনিয়াতে লাগামহীন নয় বরং সে নিজের জীবনের প্রতিটি মিনিটের নিজেই যিম্মাদার, সে এই দুনিয়াতে ভালো করুক বা মন্দ, তার প্রত্যেকটি ছোট থেকে ছোট আমলও সংরক্ষণ করে রাখা হবে, কিয়ামতের দিন তাকে আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে তার প্রতিটি আমলের জবাব দিতে হবে। মোটকথা মানুষ এই দুনিয়াতে পশুদের মতো নয় বরং সে নিজের জীবনের এক একটি মূহুর্তের নিজে যিম্মাদার, তার উচিত যে, প্রতিটি মূহুর্ত চিন্তাভাবনা করে অতিবাহিত করা। আসুন! সূরা যিলযালের ব্যাখ্যা শ্রবণ করি।

 

সূরা যিলযালের প্রথম আয়াতের ব্যাখ্যা

          আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

اِذَا  زُلْزِلَتِ الْاَرْضُ  زِلْزَالَہَا  ۙ(۱)

(পারা: ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াত: ১)            কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যখন যমীনকে থরথর করে কাঁপানো হবে, যেভাবে সেটার কাঁপানো সাব্যস্ত হয়েছে।

 

          বার বার শক্তিশালী কম্পন আসাকে ভূমিকম্প বলা হয়ে থাকে। (মুফরাদাতে ইমাম রাগিব, ২৩১ পৃ:) ভূমিকম্প সাধারণত আসতেই থাকে আর এখন আধুনিক যুগ, আজকাল তো ভূমিকম্পের তীব্রতারও পরিমাপ করা হয়ে থাকে।

 

 

 

কিয়ামতের ভূমিকম্পের তীব্রতার বর্ণনা

          পৃথিবীর এই ভূমিকম্প যার পরিমাপ করা হয়ে থাকে, যেটা যমিনের কোন নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে ধ্বংস বয়ে আনে, ঐসব ভূমিকম্প আসার একটি প্রকাশ্য কারণ যেটা সায়্যিদি আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিপিবদ্ধ করেছেন, তা হলো এটি যে, একটি বড় পাহাড়, যার শিকড়গুলো যমিনের গভীরে বিস্তৃত রয়েছে, যেই যমিনের উপর ভূমিকম্পের নির্দেশ দেয়া হয়ে থাকে, সেই পাহাড় তার সেই স্থানের শিকড়গুলোকে নাড়া দিয়ে থাকে, যার ফলে ভূমিকম্প হয়ে থাকে। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যা, খন্ড: ২৭, পৃষ্ঠা: ৯৩) এখন একটু গভীর চিন্তা করে দেখুন শুধুমাত্র পাহাড়ের শিকড় যা যমিনের ভিতর রয়েছে, সেগুলো নড়ে উঠে তো এমনই ধ্বংস নিয়ে আসে যে, হৃদয় স্পন্দিত হয়ে যায়, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাদি শুধুমাত্র পরিমাপ করতে পারে, ভূমিকম্প আটকাতে পারে না, বড়