ALLAH Pak Ki Muhabbat Kaisay Hasil Ho?

Book Name:ALLAH Pak Ki Muhabbat Kaisay Hasil Ho?

ও দুনিয়ার ভালোবাসা একটি অন্তরে একত্রিত হতে পারে না, হে দাউদ! (عَلَیْہِ السَّلَام) যে আমাকে ভালোবাসে সে রাতে আমার দরবারে তাহাজ্জুদ আদায় করে, যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, সে একাকীত্বে আমাকে স্মরণ করে, যখন গাফেল লোক আমার যিকির থেকে উদাসিনতায় পড়ে থাকে, সে আমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করে, যখন ভুলে যাওয়া লোক আমার ব্যাপারে উদাসিনতা অবলম্বন করে।

(হিলয়াতুল আউলিয়া, আব্দুল আযিয বিন আবি দাউদ, নং: ১১৯০৬, ৮/২১১ পৃ:  বাহরুদ দুমু, ২১ পৃ:)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের সত্যিকার ভালোবাসা তখনই অর্জন করা  সম্ভব, যখন আমরা সেটা অর্জনের পদ্ধতি জেনে নিবো। আল্লাহ পাকের ভালোবাসা পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো এটি যে, তাঁর প্রিয় হাবিব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সত্যিকার ভালোবাসা ও প্রতিটি বিষয়ে তাঁর অনুসরণ করা হবে। কেননা আল্লাহ পাক তাঁর ভালোবাসা অর্জনের জন্য নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আনুগত্য ও অনুসরণ করাকে শর্ত সাব্যস্ত করেছেন। যেমন পারা: ৩, সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১ এ আল্লাহ পাক বলেন:

 

রাসূলের আনুগত্য আল্লাহর ভালোবাসার মাধ্যম

قُلْ  اِنْ کُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوْنِیْ یُحْبِبْکُمُ اللّٰہُ وَ یَغْفِرْ لَکُمْ ذُنُوْبَکُمْ ؕ  وَ اللّٰہُ غَفُوْرٌ  رَّحِیْمٌ                                        কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে মাহবুব! আপনি বলে দিন, ‘হে মানবকূল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবেসে থাকো তবে আমার অনুগত হয়ে যাও, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

 

          এই আয়াতে মুবারকা থেকে প্রতীয়মান হলো আল্লাহ পাকের ভালোবাসার দাবি তখনি সত্য হতে পারে, যখন আমরা রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আনুগত্য ও অনুসরণ করবো। হাকিমুল উম্মত হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতে মুবারকার সারাংশ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: হে নবী (!صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) আপনি ঐসব লোকদের বলে দিন, যারা আপনার ওসিলা ব্যতীত আমার ভালোবাসার দাবি করে বা যারা নিজেকে তাদের প্রতিপালকের প্রিয়ভাজন মনে করে আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে চায়, অথবা যারা আপনার আনুগত্য ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে খোদা পর্যন্ত পৌঁছতে চায়, তাদের সবাইকে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিন যে, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে, না আমার সাথে যুদ্ধ করবে আর না আমার সমান হওয়ার চেষ্টা করবে, আমার আগে অগ্রসর হয়ো না, বরং গোলাম হয়ে আমার পেছন পেছন চলো, নিজেদের কথাবার্তা, কার্যাদি, আমল, মোটকথা জীবনের প্রতিটি বিষয়কে আমার উদাহরণ বানাও এবং আমার মধ্যে বিলীন হয়ে যাও, অতঃপর বিষয় এর বিপরীত হবে আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তাঁর বন্ধু বানিয়ে নিবেন আর তোমরা যা চাইবে, (তিনি তা দান) করবেন, এর সাথে তোমাদের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন, কেননা আল্লাহ (পাক) বড় ক্ষমাশীল ও দয়ালু, তোমরা নিজেদেরকে তাঁর মাগফিরাত ও রহমতের উপযুক্ত করো, অতঃপর