ALLAH Pak Ki Muhabbat Kaisay Hasil Ho?

Book Name:ALLAH Pak Ki Muhabbat Kaisay Hasil Ho?

সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় আসে, মাদরাসাতুল মদীনা বালেগানে পড়ে বা পড়ায়, দরস দেয় বা শোনে, মাদানী কাফেলার সফর করে, ফজরের পর হালকায় অংশগ্রহন করার সৌভাগ্য অর্জন করে, মোটকথা যে কেউ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য একত্রিত হয়, আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও নৈকট্যের জন্য একে অপরের সাথে সাক্ষাত করে, একে অপরের জন্য সম্পদ ব্যয় করে, তাদের আল্লাহ পাকের ভালোবাসা অর্জিত হয়ে থাকে। যেমন

 

          বাহারে শরীয়ত খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৫৭৭ এ লিপিবদ্ধ রয়েছে: আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: যেসব লোক আমার কারণে একে অপরকে ভালোবাসে আর আমার কারণে একে অপরের পাশে বসে এবং পরস্পর মেলামেশা করে এবং অর্থ ব্যয় করে, তাদের সাথে আমার ভালোবাসা ওয়াজিব হয়ে গেলো।(“আল মুয়াত্তালিল ইমামি মালেক, হাদিস: ১৮২৮, ২/৪৩৯ পৃ:)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদেরও উচিত আল্লাহ পাকের প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য বেশি পরিমাণে ইবাদত ও তিলাওয়াত এবং নেকী করার অভ্যাস করা আর যদি মানবীয় কারণে কোন গুনাহ হয়ে যায় তবে দ্রত আল্লাহ পাকের দরবারে সত্যিকার তাওবা করুন, কেননা আল্লাহ পাক তাওবাকারীদের ভালোবাসেন। যেমন পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত ২২২ এ ইরশাদ হচ্ছে:

اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیْنَ  وَ یُحِبُّ الْمُتَطَہِّرِیْنَ

(পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২)            কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন অধিক তাওবাকারীদেরকে এবং পছন্দ করেন পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

 

এলাকায়ে দাওরা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে, অন্তরে আল্লাহভীতি জাগ্রত করতে, ঈমান হেফাযতের শক্তি বৃদ্ধি করতে, নিজেকে কবরের আযাব ও জাহান্নামের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করাতে, গুনাহের অভ্যাস দূর করতে, নিজেকে সুন্নাতের অনুসারী করতে, হৃদয়ে ইশকে রাসূলের প্রদিপ জ্বালাতে ও জান্নাতুল ফেরদৌসে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতিবেশি হওয়ার স্পৃহা বাড়ানোর জন্য উত্তম, দ্বীনি পরিবেশ ও নেককার লোকদের সংস্পর্শ অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী, কেননা বর্তমান সমাজের করুন পরিস্থিতির মধ্যে গুনাহের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, যেটাকে ঢেউয়ে ভেসে নিয়ে যাচ্ছে, এহেন পরিস্থিতির মধ্যে দাওয়াতে ইসলামী শ্রেষ্ঠ নিয়ামত থেকে কম নয়, সুতরাং আপনারাও এই প্রিয় দ্বীনি পরিবেশের সাথে সর্বদা সম্পৃক্ত থাকুন এবং দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ১২ দ্বীনি কাজের মধ্যে অংশগ্রহন করে দ্বীনের পয়গাম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার নিয়্যত করে নিন اِنْ شَآءَ الله সেটার অসংখ্য বরকত নিজের চোখে দেখতে পাবেন।

          মনে রাখবেন! যেলি হালকার ১২ দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি কাজ হলো এলাকায়ে দাওরা এই দ্বীনি কাজের অসংখ্য উপকার রয়েছে, যেমন মসজিদ আবাদ থাকে, এলাকার মধ্যে খুব দ্বীনি কাজ ছড়িয়ে পড়ে, নতুন নতুন ইসলামী ভাই দ্বীনি পরিবেশের কাছে চলে আসে,