ALLAH Pak Ki Muhabbat Kaisay Hasil Ho?

Book Name:ALLAH Pak Ki Muhabbat Kaisay Hasil Ho?

اَلْـحَـمْـدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْـعٰـلَـمِـیْـنَ وَالصَّـلٰوۃُ وَالسَّـلَامُ عَـلٰی سَـیِّـدِ الْمُـرْسَـلِـیْـنَط

اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْذُ بِا للهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ ط بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِط

 

اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَارَسُوْلَ الله                 وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَا حَبِیْبَ الله

اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَا نَبِیَّ الله                وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَانُوْرَ الله

 

نَوَیْتُ سُنَّتَ الْاِعْتِکَاف

(অর্থাৎ আমি সুন্নাত ইতিকাফের নিয়্যত করলাম।)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখনই মসজিদে প্রবেশ করবেন, স্মরণে আসা মাত্রই ইতিকাফের নিয়্যত করে নিবেন, ফলে যতক্ষণ মসজিদে অবস্থান করবেন, ইতিকাফের সাওয়াব অর্জিত হতে থাকবে। মনে রাখবেন! মসজিদে পানাহার করা, শয়ন করা বা সাহরী, ইফতার করা, এমনকি আবে যমযম পান করা অথবা ফুঁক দেওয়া পানি পান করাও জায়িয নেই, তবে ইতিকাফের নিয়্যত থাকলে এসব কিছু আনুষাঙ্গিকভাবে জায়িয হয়ে যাবে। ইতিকাফের নিয়্যত যেনো শুধুমাত্র পানাহার, বা ঘুমানোর জন্য না হয়, বরং এর উদ্দেশ্য যেনো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য হয়। ফাতাওয়ায়ে শামীতে উল্লেখ রয়েছে, যদি কেউ মসজিদে পানাহার করতে বা ঘুমাতে চায়, তবে সে যেনো ইতিকাফের নিয়্যত করে নেয়, কিছুক্ষণ আল্লাহর যিকির করবে, তারপর যা খুশি করবে (অর্থাৎ সে চাইলে খাবার-দাবার বা ঘুমাতে পারবে)

 

 

 

দরূদ শরীফের যীলত

مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا  لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ فِيهِ، وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ اِلَّا كَانَ

عَلَيْهِمْ تِرَةً فَاِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَاِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُم

          যে ব্যাক্তি এমন কোন মজলীশে বসে, যেখানে না সে আল্লাহ পাকের যিকির করে আর না নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে তবে কিয়ামতের দিন ওই মজলীশ তার জন্য অনুশোচনার কারন হবে। সুতরাং যদি আল্লাহ পাক চান তাকে আজাব দিবেন আর যদি চান ক্ষমা করবেন। (তিরমিযী,৫/২৪৭, হাদিস: ৩৩৯১)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

বয়ান শোনার নিয়্যত

          প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَفْضَلُ الْعَمَلِ اَلنِّيَّۃُ الصَّادِقَۃُ অর্থাৎ সত্য নিয়্যত সবচেয়ে উত্তম আমল(জামে সগীর, ৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২৮৪)

          হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন, কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়বয়ান শুনার পূর্বেও ভালো ভালো