Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid

Book Name:Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid

          হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন, কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়বয়ান শুনার পূর্বেও ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন; নিয়্যত করুন! * ইলমে দ্বীন শেখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালীন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো

          হে আশিকানে রাসূল! নামায খুবই বরকতময় ইবাদত, নামাযের বরকতে দুনিয়াও সজ্জিত হয় এবং আখিরাতও সজ্জিত হয়ে যায়। আসুন! নামাযের ফযিলত ও উপকারীতা সম্পর্কে শ্রবণ করি:

জমিন থেকে দিনার উত্তোলনকারী নামাযী

হযরত আবু বকর বিন মুফাদ্দাল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি আমার এক রোমান বন্ধুকে ইসলাম গ্রহণের কারণ জিজ্ঞেস করলাম, তখন সে বললো: আামদের দেশে মুসলমানদের সৈন্য বাহিনী আক্রমণ করেছিলো, যুদ্ধ হয়েছিলো, আমাদের কিছু লোক নিহত হলো আর কিছু তাদের। আমি একা তাদের ১০ জন মুসলমানকে বন্দী করেছিলাম। রোম দেশে আমার অনেক বড় ঘর ছিল, আমি তাদের সবাইকে আমার খাদেমদের নিকট সমর্পণ করে দিলাম। তারা তাদেরকে শিখলে বেঁধে খচ্চরের উপর মালামাল তোলার কাজে লাগিয়ে দিলো একদিন আমি এই বন্দিদের উপর নিযুক্ত একজন খাদেমকে দেখলাম যে, সে একজন বন্দীর কাছ থেকে কিছু নিলো এবং তাকে নামাযের জন্য ছেড়ে দিল, আমি সেই খাদেমকে ধরে মারলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম: বলো! তুমি এই বন্দীর কাছ থেকে কি নিয়েছো? তখন সে বললো: সে প্রত্যেক নামাযের সময় আমাকে এক দিনার (অর্থাৎ একটি স্বর্ণমুদ্রা) দেয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম: তার কাছে কি দিনার আছে? তখন সে বললো: না, কিন্তু যখন সে নামায শেষ করে, তখন সে তার হাত মাটিতে মেরে তা থেকে একটি দিনার বের করে আমাকে দেয়! (খাদেমের কথা শুনে) আমার আগ্রহ হল যে, আমি এর বাস্তবতা কি তা জানবো। অতএব যখন দ্বিতীয় দিন এলো, তখন আমি সেই খাদেমের ইউনিফরম পরিধান করে তার স্থানে দাঁড়িয়ে গেলাম। যখন যোহরের সময় হল তখন সে আমাকে ইশারা করলো যে, আমাকে নামায পড়তে দাও, বিনিময়ে আমি তোমাকে এক দিনার দিবো। আমি বললাম, ২ দিনারের কম নিবো না। সে বললো: ঠিক আছে। আমি তাকে খুলে দিলাম, সে নামায পড়লো। যখন শেষ করলো তখন আমি দেখলাম যে, সে মাটিতে তার হাত মারলো এবং ২টি নতুন দিনার বের করে আমাকে দিলো। আসরের সময় হলে সে আমাকে প্রথমবারের মতো আমাকে ইশারা করলো। আমি তাকে ইশারা করলাম যে, আমি ৫ দিনারের কম নেব না। সে মেনে নিলো। অতঃপর যখন মাগরিবের সময় হল, তখন যথারীতি আমাকে ইশারা করলো, তখন আমি বললাম: আমি ১০ দিনারের কম নেব না। তিনি আমার কথা মেনে নিলো এবং যখন নামায শেষ করলো, তখন মাটি থেকে ১০ দিনার বের করে আমাকে দিলো, অতঃপর যখন ইশার নামাযের সময় হল, তখন যথারীতি সে আমাকে ইশারা করলো, আমি বললাম: আমি ২০ দিনারের কম নেব না। তখনও সে আমার কথা মেনে নিলো এবং নামায শেষ করে মাটি থেকে ২০ দিনার বের করলো এবং আমার হাতে দিয়ে বললো: তোমার যা চাওয়ার চাও! আমার মাওলা অত্যন্ত ধনী ও উদার, আমি তাঁর কাছে যা চাইবো, তিনি তাই দেবেন। তার এই আচরণ দেখে আমি নিশ্চিত হলাম যে, ইনি ওলী আল্লাহ, আমার উপর তাঁর প্রভাব বিস্তার করলো এবং আমি তাকে শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে দিলাম আর সেই রাত আমি কেঁদে কেঁদে অতিবাহিত