Book Name:Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid
বিভিন্ন হাদীস ও বর্ণনা অনুসারে * আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির কারণ হল নামায। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চোখের শীতলতা হল নামায। (সুনানে কুবরা লিন নাসায়ী, ৮/১৪৯, হাদীস ৮৮৩৬) * আম্বিয়ায়ে কিরামের عَلَیْهِمُ السَّلَام সুন্নাত হল নামায। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায অন্ধকার কবরের প্রদীপ। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে। (আয যাওয়াজির, ১/২৫৫) * নামায কিয়ামতের রোদে ছায়াস্বরূপ। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায পুলসিরাতের জন্য সহজতা। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায হল নূর। (মুসলিম, ১০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস ২২৩) * নামায হল জান্নাতের চাবি। (মুসনাদে ইমাম আহমদ, ৬/১৪৯, হাদীস ১৫০৩৯) * নামায জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচায়। * নামাযের মাধ্যমে রহমত অবতীর্ণ হয়। * আল্লাহ পাক হাশরের দিনে নামাযীর প্রতি খুশি হবেন। * নামায দ্বীনের স্তম্ভ। (শুয়াবুল ঈমান, ৩/৩৯, হাদীস ২৮০৭) * নামাযের মাধ্যমে গুনাহ ক্ষমা হয়। (মুজামু কবীর, ৩/৫৭৭, হাদীস ৬০০২) * নামায দোয়া কবুলের মাধ্যম। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায অসুস্থ্যতা থেকে বাঁচায়। * নামাযের মাধ্যমে শরীরের প্রশান্তি লাভ হয়। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামাযের মাধ্যমে রোজগারে বরকত হয়। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বাঁচায়। * নামায শয়তানের অপছন্দ। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায কবরের অন্ধকারে একাকীত্বের সঙ্গী। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায নেকীর পাল্লা ভারী করে দেয়। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামায মুমিনের মেরাজ। (মিরাতুল মাফাতিহ, ১/১১৩, ১ম হাদীসের পাদটিকা) * সময়মত নামায পড়া সকল আমলের চেয়ে উত্তম। (তাম্বিহুল গাফেলিন, ১৫৮ পৃষ্ঠা) * নামাযীর জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত হল যে, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাকের সাথে সাক্ষাত করবে। (ফয়যানে নামায, ১০-১১ পৃষ্ঠা)
নামাযের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামাযে আল্লাহ পাক অসংখ্য বিশেষত্ব রেখেছেন। যেমন;
(১) নামায হল সর্বোত্তম সাহায্যকারী
সকল দুঃখ, কষ্ট, অভাব, বেকারত্ব মোটকথা সকল প্রকার বিপদে নামায সর্বোত্তম সাহায্যকারী। আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে ইরশাদ করেন:
وَ اسْتَعِیْنُوْا بِالصَّبْرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ
(পারা ১, বাকারা, আয়াত ৪৫) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।
سُبْحٰنَ الله! জানা গেল; আমাদের কোন বিপদ আসলে, কোন ধরনের সমস্যা হলে, আমরা যেন নামায পড়ি, এর মাধ্যমে সাহায্য চাই, তবে اِنْ شَآءَ الله অদৃশ্য থেকে সাহায্য আসবে এবং সমস্যা দূর হবে।