Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid

Book Name:Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid

করলাম। সকাল হলে আমি তাকে ডেকে সম্মান করলাম এবং তার পছন্দের নতুন পোশাক পরালাম আর যদি সে চায় তবে তাকে আমাদের শহরের একটি সম্মানজনক বাড়িতে বা প্রাসাদে থাকার এবং চাইলে নিজের শহরে চলে যাওয়ার অনুমতি দিলাম সে তার শহরে যেতে পছন্দ করলো আমি একটি খচ্চর আনালাম এবং পাথেয় (অর্থাৎ যাতায়াতের খরচ) দিয়ে তাকে নিজেই খচ্চরে বসিয়ে দিলাম। সে আমাকে দোয়া করলো: আল্লাহ তাঁর প্রিয় দ্বীনেই তোমার মৃত্যু দিন। তাঁর এই বাক্য পূর্ণই হয়নি যে, আমার অন্তরে দ্বীন ইসলামের ভালবাসা বাসা বেঁধে নেয়, অতঃপর আমি তার সাথে আমার ১০ জন গোলামকে পাঠালাম। তাদেরকে নির্দেশ দিলাম যে, তাঁকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে নিয়ে যাও। অতঃপর তাকে একটি দোয়াত ও কাগজ দিলাম এবং একটি চিহ্ন নির্দিষ্ট করে নিলাম যে, যখন সে নিরাপদে তার স্থানে পৌঁছে যাবে তখন সেই চিহ্নটি লিখে যেন আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের আর তাঁর শহরের মধ্যে ৫ দিনের দূরত্ব ছিল। যখন ষষ্ঠ দিন এলো তখন আমার খাদেমরা আমার কাছে এলো, তাদের নিকট চিরকুটও ছিল যাতে তাঁর চিঠি এবং সেই চিহ্নও ছিল। আমি আমার গোলামদের তাড়াতাড়ি আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম তখন তারা আমাকে বলল যে, আমরা যখন তার সাথে রওনা হলাম, তখন আমরা কোন ক্লান্তি বা পরিশ্রম ছাড়াই মুহুর্তেই সেখানে পৌঁছে গেলাম, কিন্তু ফেরার সময় একই যাত্রা হয়েছিল ৫ দিনে। তাদের একথা শোনার সাথে সাথে আমি পড়লাম: اَشْھَدُ اَنْ لَّا ٓ اِلٰـہَ اِلَّا اللهُ وَاَشْھَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ الله ِوَاَ نَّ دِیْنَ الْاِسْلَامِ حَقٌّ (অনুবাদ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল এবং নিশ্চয় ইসলাম ধর্মই সত্য) তারপর আমি রোম থেকে বের হয়ে মুসলমানদের শহরে এসে গেলাম। (আর রাওদ্বুল ফায়িক, ৯৫-৯৬ পৃষ্ঠা)

 

 

নামায কার উপর ফরয?

হে সৌভাগ্যবান আশিকানে নামায! নামায আমরা গুনাহগারদের জন্য অনেক বড় নেয়ামত * আমার আক্বা আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: পাঁচ ওয়াক্ত নামায আল্লাহ পাকের ঐ মহান নেয়ামত যে, তিনি তাঁর মহান অনুগ্রহে বিশেষ করে আমাদেরকে দান করেছেন, আমাদের আগে কোন জাতি তা পায়নি। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, ৫/৪৩) * মনে রাখবেন! প্রত্যেক বিবেকবান প্রাপ্তবয়ষ্ক মুসলমান নর-নারীর উপর প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামায পড়া ফরয। এর ফরযিয়্যতকে (অর্থাৎ ফরয হওয়াকে) অস্বীকার করা কুফরী। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ত্যাগ করে, সে ফাসিক, গুরুতর গুনাহগার এবং জাহান্নামের আযাবের হকদার।

শত কোটি আফসোস! বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানেরই নামাযের প্রতি মোটেও পরোয়া নেই, আমাদের মসজিদগুলো নামাযী শূন্য দেখা যায়। আল্লাহ পাক নামায ফরয করে নিশ্চয় আমাদের উপর মহান দয়া করেছেন, আমরা সামান্য চেষ্টা করে, নামায পড়লে আল্লাহ পাক আমাদেরকে অনেক বড় সাওয়াব ও প্রতিদান দান করবেন।

(ফয়যানে নামায, ৮ পৃষ্ঠা)