Book Name:Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid
উজ্জ্বল হয় (১৯) বরকত আনয়ন করে (২০) দয়াময় আল্লাহ পাকের নিকটবর্তী করে দেয় এবং (২১) শয়তানকে দূরে তাড়িয়ে দেয়। (ফয়যুল কদীর, ৪/৬৮৯, ৬১৫৪ হাদীসের পাদটিকা)
মনে রাখবেন! এই উপকারীতা সমূহ ঐ অবস্থায় অর্জিত হবে, যখন সঠিক পদ্ধতিতে একনিষ্টতার সাথে নামায আদায় করা হবে।
(৩) নামায চরিত্রের উন্নতি ঘটায়
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামাযের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এটাও যে, নামাযের মাধ্যমে শুধু শারীরিক রোগই নয় বরং রূহানী রোগেরও আরোগ্য রয়েছে, নামায আমাদের আচরণ, নৈতিকতা, কথাবার্তা, আচার আচরণের প্রতি ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, যার কারণে আমরা সমাজের একজন অনন্য ব্যক্তি হতে সফল হতে পারি। প্রসিদ্ধ মুফাসসীরে কোরআন, হাকিমুল উম্মত, মুফতি আহমদ ইয়ার খান নাঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: * নামায বিপদের সর্বোত্তম প্রতিকার এবং * রহতম অর্জনের সর্বোত্তম মাধ্যম * নামাযের মাধ্যমে শরীরের পরিচ্ছন্নতা * পোশাকের পবিত্রতা * নৈকিত পরিচ্ছন্নতা * আখিরাতের প্রতি ভালবাসা * দুনিয়ার প্রতি উদাসীনতা * আল্লাহর ভালবাসা অর্জিত হয়, তবে শর্ত হল একাগ্রতার সহিত আদায় করা।
তিনি আরও বলেন: যেমন বিভিন্ন ওষুধের বিভিন্ন প্রভাব রয়ে়ছে, তেমনি নামাযে এমন প্রভাব রয়েছে যে, তা খারাপ ও অন্যায় থেকে রক্ষা করে এবং পাহাড়ের বাতাস যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনি মসজিদের বাতাসও ঈমানের জন্য উপকারী। নামাযে বিশেষ বিষয় হলো, তা মানুষের ধ্যানকে ঘুরিয়ে দেয় অর্থাৎ দুনিয়া থেকে একেবারে উদাসীন করে আল্লাহ পাকের দিকে মনযোগী করে দেয়, যার ফলে মানুষ দুনিয়ার দুঃখ ভুলে যায় এবং অবসর হয়ে এমন সুখী হয় যে, অতঃপর অন্তরে বিপদের তেমন অনুভুতি হয় না।
(তাফসীরে নাঈমী, পারা ২, সূরা বাকারা, ১৫৩নং আয়াতের পাদটীকা, ২/৮২)
চরিত্রের উপর নামাযের ইতিবাচক প্রভাব
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামাযের সাইকোজিক্যালও অনেক উপকারীতা রয়েছে। আল্লাহ পাকের রহমতে * নামায মাইন্ড চেঞ্জারও এবং * লাইফ চেঞ্জারও * নামায আপাদমস্তক, মন, মনন এবং চিন্তার উপর ইতিবাচক প্রভাব প্রদান করে * নামায হল আপাদমস্তক শিষ্টাচার এবং শিষ্টাচার মানুষকে সফলতা পর্যন্ত নিয়ে যায় * নামায আপাদমস্তক বিনয় আর বিনয় মানুষকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয় * নামায মানুষকে কর্তব্যপরায়ণ বানায় * নামাযের সময়গুলো নির্দিষ্ট, ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা সবগুলো নামাযের বিশেষ সময় রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে জামাআতে নামায পড়ার অভ্যাস করাতে মানুষ সময়ের নিয়মানুবর্তিতাকারী হয়ে যায় * নামায হল একটি মুরাকাবা, নামাযী নামাযে সকল কাজকর্ম ছেড়ে, সমস্তু চিন্তাভাবনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আপন প্রতিপালকের দরবারে উপস্থিত হয়, নিজের সম্পূর্ণ মনোযোগ আল্লাহ পাকের রহমত ও অনুগ্রহের দিকে দেওয়ার চেষ্টা করে, এর বরকতে ওভার থিংকিং অর্থাৎ অহেতুক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি লাভ করে এবং মানুষে চিন্তাভাবনা পরিছন্ন হয়ে যায়। * আর নামাযের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হল যে, নামায একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ। আপনারা জেনে থাকবেন; ঔষধ দুই ধরনের হয়ে থাকে, একটি হল সাধারণ ঔষধ, যা রোগীর ভেতর থেকে রোগকে দূর করে এবং একটি হল ভ্যাকসিন, এটি রোগকে দূর করে এবং এর পাশাপাশি পরবর্তীতে রোগকে কাছে আসতেও বাধা দেয়, নামাযও এমনই, নামায আমাদের ভেতর থেকে